পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

拉文 দেবীরবিন্দ । ” বিগলিত-নয়নে ভূতলে বিলুষ্ঠিতা ও রেণুৰূষিত হইতে লাগিলেন। উরঃস্থলে করাঘাত করিয়া কহিতে লাগিলেন, “ওরে পাষাণ হৃদয় । তুই এখনো বিদীর্ণ হইলি মা ! যে রাজরাজেশ্বর ভূরি ভুরি ক্লেশ সহ করিয়া, অশেষ ৰিপদকে তুচ্ছ জ্ঞান করিয়া, জীবনাশী পরিত্যাগ করিয়া, আমাকে উর্থীর করিলেন, সেই জীবিতেশ্বর বিরছে তুই বিদীর্ণ হইতে কুষ্ঠিত হইতেছিস ? হায় কি হইল ? কোথায় যাইব ? RH শরণাপন্ন হুইব ? হা প্ৰাণেশ্বর ! হা মঙ্গলালয় ! হা গুজরাট-রাজকুলতিলক ! এ অভাগিনীকে অনাখা করিয়া কোথায় গমন করিলে ? আমি যে তোমাতেই একান্ত অনুরক্ত, তুমি ত্যাগ করিলে অণর কাছার বদনারবিন্দের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া হুঃসহ দেছ ভার বহন করিব ! নাথ ! কি অপরাধে এই চির-দুঃখিনী হত-ভাগিনীকে ঈদৃশ গহন কাননে চির-হুঃখানলে আহুতি দিয়া পলায়ন করিলে ? অরে কৃতয় প্রাণ ! তুই আর কেন এই পুষ্টপিশকে পুন-দগ্ধ করিস ? অ!—এখনে জীবিত আছি ! এ ছতভাগিনীর মৃত্যু নাই! সৰ্ব্বভুক কৃতান্তও এ পাপিয়সীকে ম্পর্শ করিতে স্ত্রণ করেন । বিধাতা বুঝি আমার চির-হুঃখিনী করিবার সঙ্কপ করিয়াছেন, প্লাণ বিয়োগ হইলে তাহার সে সঙ্কল্প সুসিদ্ধ হয় না, এই জন্তেই জীবিত রহিয়াছি ; অথবা আমার পূৰ্ব্বজন্মার্জিত কুকর্থের ফল ভোগ ; নচেৎ ঈদৃশ শোচনীয় ব্যাপারের পরেও জীবিত থাকা নিতান্ত অসস্তব ! অরি বক্ষুধে একবার বিদীর্ণ হইয়া বাহুযুগল প্রসারণ পূৰ্ব্বক এই শোক-বিদগ্ধ-হৃদয় অভাগিনীকে গ্রহণ কর।” রাজনন্দিনী এবস্তপ্রকার অক্ষেপ ও বিলাপ করিতে করিতে দীর্ঘনিশ্বাস