পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । ፅ\9 সহকারে বতাহত কদলীর দ্যায় পুনরায় ধরাতলে পতিত ও মুচ্ছক্রিান্ত হইলেন। তাছার বিলাপ শ্রৰণে জ্ঞানশূন্য পশু পক্ষিগণও কলরব ব্যাপদেশে ਹੋਕ করিতে লাগিল এবং অরণ্যস্থিত তৰুগণও পত্রস্থিত শিশির-বিন্দু-বর্ষণ-চ্ছলে অশ্রু বর্ষণ করিতে লাগিল । অনন্তর স্বপাল-তনয়৷ সংজ্ঞ প্রাপ্ত হইয় প্রাণপরিত্যাগ দ্বার। একেবারে সকল দুঃখের উপশম করাই শ্রেয়স্কর বোধ করিলেন । পরে . বৈদ্যুতান্ধি-শুষ্ক মলয়জ বৃক্ষ-সমূহ হইতে কাষ্ঠহরণ পূর্বক চিত প্রস্তুত করিয়া জীবন বিনাশে উদযুক্ত হুইলেন। এমত সময় কাননের এক নিবিড়প্রদেশে অমানুষকৃেতি গম্ভীর-প্রকৃতি এক স্থবির পুৰুষকে অবলোকন করিলেন । র্তাহীর মুখমণ্ডল হইতে স্বৰ্গীয় কৌমুদী নিঃস্থত হওয়াতে, এবং পলিত কেশপাশ অগ্নিকণ-পরিবৃত থাকতে রাজকুমারী উহাকে দৈব-প্রভাব-সম্পন্ন বলিয়া অনায়াসে উপলব্ধি কল্পিতে পারিলেন ; কিন্তু কি নিমিত্ত ভূতলে অবতীর্ণ হইয়াছেন, তাহ নির্ণয় করিতে ন পারাতে সাতিশয় বিস্মিত হইয়া নিমেষ-শূন্য নয়নে তদভিমুখে নিরীক্ষণ করিয়া থাকিলেন । বর্ষীয়ান্‌ ক্ৰমে ক্রমে রাজপুত্রীর নিকটবর্তী হইয়। মধুরম্বরে বলিলেন, “ বৎস চন্দ্রকলে ! তুমি যে ভয়ঙ্কর ব্যাপারে উদযুক্ত হইয়াছ, উছা হইতে নিৱত্তী হও । তোমার জীবিতেশ্বর জীবিত আছেন, সময় বিশেষে তোমার সহিত পুনৰ্ম্মিলিত হইবেন।” এই মাত্র বলিয়৷ উপখুঁ্যক্ত স্বত্রিংশলক্ষণোপেত অস্তঃস্থিত হইলেন । রাজনন্দিনী বিবেচনা করিলেন, ঐ বর্ষীয়া কখন মানুষ মহেন, বোধ হয় আমার বিলপ শ্রবণে কোন মহাপুৰুষ