পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । శీ సి দূত আসিয়া শিরোনমন-পুরঃসর নিবেদন করিল, “মহারাজ ! মহীশূরাধিপতি সসৈন্য আসিয়া আপনার রাজ্য আক্রমণ করিয়াছেন, ত্বরায় প্রতিকার চেষ্টা কৰুন।” ভূপাল বার্তাবছপ্রমুখাৎ এই অশনি-পাত-তুল্য ভয়ানক বাৰ্ত্ত শ্রবণে যৎপরেনাস্তি শঙ্কিত ও চিন্তিত হইয় তাহাকে জিজ্ঞাসিলেন, “তুমি বিপক্ষ-পক্ষের সৈন্য চক্ষুষ করিয়াছ ? তাহদের সংখ্যা কত হইবে ? সেই দুৰ্জ্জয় শক্ৰ সমূহকে কি আমার সৈন্য-দলে পরাভূত করিতে সমর্থ হইবে ? সন্দেশহীরক প্রাঞ্জলিপূৰ্ব্বক বলিল, “মহারাজ ! মহীশূরাধিপতি অক্ষৌহিণী সমভিব্যtছীরে আগত হইয়াছেন, দৈববল ভিন্ন এ চতুরঙ্গ সেনার নিরীকরণ করার কোন সম্ভব দেখি না ; ঈশ্বরানুকুল - হইলে মহারাজ অবশ্যই ঐ পতঙ্গ-পাল-সদৃশ অগণ্য শক্রগণকে পরাজিত করিতে পরিবেন, সন্দেহ নাই।” এতচ্ছ বণে ভূপাল নিতান্ত ভীত ও ব্যাকুলিত হইতে লাগিলেন। মন্ত্রিৰগও অকস্মাৎ ঈদৃশ ভয়াবহ বাৰ্ত্ত। শ্রবণে উপায়ান্তর না দেখিয়। একেবারে নিৰুৎ সাহ হইয়। পড়িল । অরবিন্দ রাজ ও মন্ত্রিমণ্ডলকে এতাদৃশ বিপদকালে একান্ত নিৰুপ্তমী ও ভীতাভি-ভূত দেখিয়া নরেন্দ্রকে সম্বোধন পূৰ্ব্বক কহিলেন, “মহারাজ ! বিপদকালে নিৰুদ্যোগ ও উৎসাহ-রছিত হইয়। কার্ষ্যে অক্ষম হওয়া ভূপতিদিগের কোন প্রকারে বিধেয় নছে । র্যাহীদের হস্তে দেশের স্বাধীনতা এবং প্রজ-মণ্ডলের কুশলাকুশলের ভর ন্যস্ত রছিয়াছে, ঈদৃশ সঙ্কট-কালে কি র্তাহীদের একেবারে ছতবীৰ্য্য ও নিশ্চেষ্ট হওয়া উচিত ?” নরেশ অরবিন্দের এইরূপ সদুক্তি-সন্দর্ভ অাকর্ণন করিয়া কাতর