পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*36 দেবীর লি নল । স্বরে কছিলেন, “অরবিন্দ! মহীশূরাধিপতি যে রণ-পটু চতুরঙ্গ-বাহিনী-সমভিব্যাহারে আগমন করিয়াছেন, তৎসম্মুখীন হইয়। মদীয় অকিঞ্চিৎকর সৈন্যদল কোন প্রকারে সংগ্রাম করিতে সমর্থ হইবে না । পরন্তু আমার প্রজাগণ রণ-কুশল নহে, কেবল কৃষিকাৰ্য্যদ্বারা দেশোজ্জ্বল করিতেই সমর্থ ; দ্বিষদ্বর্গ তদ্বিপরীতে জন্মাবধি সংগ্রাম বিষয়ে সুশিক্ষা প্রাপ্ত হুই য়াছে এবং অসংখ্য প্রাণি-পুঞ্জের শোণিত-পাত-দ্বার। ভূরিड्रबि দেশ জয় করতঃ তদীয় যুদ্ধ-সংক্রান্ত রীতি নীতি অভ্যাসপূৰ্ব্বক বিপক্ষ-দলনে সুনিপুণ হইয়াছে ; অতএব ঐ বিজিগীয়ু শক্ৰ হইতে পরিত্রণের সম্ভাবন কি ? সুতরাং স্বাধীনতার মূলচ্ছেদ করিয়া, দ্বৈধ অবলম্বন-পূৰ্ব্বক উহাদের প্রভুত্ব-স্বীকার করিতে হইয়াছে ।” অরবিন্দ বিজয়পুরাধিপতির ঈদৃশ কাতরোক্তি শ্রবণ করিয়৷ বলিলেন, “ প্রজেশ্বর ! শঙ্কা করিবেন না, সহিষ্ণুতাবলম্বন করুন। এ প্রদেশধিপতি হইয়। আপনি যতদূর নিরাপদে থাকিতে পারেন, সামর্থ্যানুসারে তদযত্নে আমরা কিছুমাত্র ক্রটি করিব না । কিন্তু দুর্জেয় বৈরী যখন আগত প্রায় হইয়াছে, তখন অণর নিশ্চেষ্ট থাকা কোন প্রকারে যুক্তিযুক্ত নহে ; যাহতে প্রজামণ্ডলী এই ভয়ানক শঙ্কটোত্তীর্ণ হুইয়া নিৰুদ্বেগ হইতে পারে তাহার বিধান করা এখন নিতান্ত কৰ্ত্তব্য । অতএব দেশস্থ সমুদায় ব্যক্তিকে একত্র করিয়া জিজ্ঞাস করা যাউক, যে, স্বাধীনতা এবং জীবন এই দুরের মধ্যে কোটি তাছার শ্রেষ্ঠ বোধ করে ।” অরবিন্দ ভূপতিকে এইরূপ কৰ্ত্তব্যোপদেশ দিয়া সভা