পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ు. হইতে বহির্গত হওমানন্তর এক উচ্চস্থানে দণ্ডায়মান হইয়। উচ্চৈঃ স্বরে কাছতে লাগিলেন, “ হে বিজয়পুরবাসিগণ ! যদি তোমাদের স্বাধীনতা অমূল্য ধন বলিয়া বিবেচনা হয় ও তাঁহা রক্ষ করিবার ইচ্ছা থাকে, তবে ত্বরায় যুদ্ধার্থ সুসজ্জিত হও, বিপক্ষ-দল অতি নিকটবর্তী হইয়াছে।” অরবিন্দের এই মহুেক্তি শ্রবণ মাত্র অঙ্গত্রাণধারণ পুরঃসর অস্ত্র শস্ত্রে কুত-সজ্জ হইয়া স্বদেশ রক্ষা করণার্থ বহুসংখ্যক লোক আসিয়া উপস্থিত হইল । তাহাদের অত্যু জ্বল বদনমণ্ডলে স্বদেশানুরাগ-স্থচক বিবিধ চিহ্ন লক্ষিত হইতে লাগিল । ইন্দ্রিয়-প্রীতি-পরায়ণত ও আলস্যজনিত তাহার কখন কোন উৎকট ব্যাধি-গ্ৰস্ত হয় নাই ; পরিমিতাহার ও নিয়মিত পরিশ্রমের গুণে তাহার। সকলেই উত্তম হৃষ্টপুষ্ট ও বলযুক্ত ছিল । তাহদের বাহ-দৃষ্টি এবং অস্ত্রশস্ত্রের ভাবভঙ্গি দর্শনে অনুভূত হইল, যেন তাহার। ভূৰ্জয় বৈরীদিগকে পরাজয় করিতে স্থির-প্রতিজ্ঞ হইয়াছে । অনন্তর অরবিন্দ লৌহসন্নাহ ধারণ পূর্বক রাজসেনানীর সহিত রঙ্গভূমিতে যাত্রা করিলেন ; ইহাতে বোধ হইল যেন মৎস্যদেশাধপতি বিরাটের গোধন-ত্ৰাণার্থে বৃহন্নলাখ্যাত ছদ্মবেশী ধনঞ্জয় উত্তরের সহিত কৌরব-চমুর বিৰুদ্ধে যাত্রা করিতেছেন ; অথব। দত্তোলিক্ষেপী অসুরারির পক্ষ হুইয়। তারকার শিখি গ্লুজ হ্ৰদম্য দনুজদল দমনে গমন করিলেন । এমত সময় বহুসংখ্যক বৈজয়ন্তিক অরণতি তাহদের নয়নগোচর হইল, এবং দেখিতে দেখিতে অসংখ্য রিপু-সেন। কর্তৃক রণক্ষেত্র ও উপত্যক ভূমি সমাচ্ছন্ন হইয় গেল। অরবিন্দ ইতিপূর্বেই গন্ধক এবং যবক্ষার সহকারে এক প্রকাগু ৰ{ৰুদস্তন্তু নিৰ্মাণ করিয়া তন্মধ্যে রহৎ,