তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ડ দিয়া কুতকার্য ছওয়৷ কোন প্রকারে সম্ভব নছে ; অতএব এইক্ষণে কৌশল ভিন্ন উপায়ান্তর নাই । * , সুচতুর অরবিন্দ এইরূপ চিন্তা করিয়া অবিলম্বে স্বীয় সৈন্স সমভিব্যাহারে পূর্ব-নিৰ্ম্মিত বাৰুদ স্তস্তের নিকট ধাবিত হইলেন। বিপক্ষেরাও তৎপশ্চাদগামী হইয়। ঐ স্তম্ভ সমীপে উপস্থিত ছইল । তখন রাজকুমার অভীষ্ট সিদ্ধির উপযুক্ত সময় দেখিয় ঐ স্তম্ভে অগ্নি সংযোগ করতঃ স্বীয় সেনাগণ সহিত প্রচ্ছন্নভাবে এক তিমিরচ্ছন্ন সংকীর্ণ পদবী দিয়া দূরে প্রস্থান করিলেন । বিপক্ষগণ হঠাৎ তাহীকে না দেখিয়া সীতিশয় ক্রোধের সহিত ঐ স্তস্তের চতুর্দিকে অন্বেষণ করিতে লাগিল। এমন সময় ঐ স্তম্ভ অগ্ন্যুৎপাতকালীন আগ্নেয় গিরির ন্যায় ভীষণ মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়! শত শত অগ্নিশিখ উদগীরণ করিতে লাগিল। ধাতু-নিঃস্রববৎ প্রস্তর খণ্ড সকল প্রচণ্ডবেগে ছুটিতে লাগিল, তদাঘাতে বিপক্ষগণ একে একে সকলেই ভূতল-শারী হইয় গতস্থ হইল । অরবিন্দ এইরূপে লব্ধ-বিজর হইয়। রাজ-সমীপে উপস্থিত হইবামাত্র, নরেন্দ্র গাত্রোথনেপূৰ্ব্বক ক্লভজ্ঞতাশ্র-পূর্ণ-নয়নে গদগদ বচনে উছকে ভ্রাতঃ’ সম্বোধন করিয়া গাঢ় অলিঙ্গন করিলেন এবং পরে তঁহকে প্রধানমণত্য-পদাভিষিক্ত করিয়া প্রায় সকল রাজকীর্ষ্যের ভারই তাহার হস্তে অপণ করলেন । অরবিন্দও বিচক্ষণ রূপে স্বীয় কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে লাগিলেন । র্তাহীর আলোক-সামান্ত সুমন্ত্রণ প্রভাবে বিজয়পুর নগরী উত্তরোত্তর সর্বপ্রকারে বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিল এবং নান প্রকার স্বনিয়ম প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে প্রজাত্ৰজ সুশৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়। নিৰুদ্বেগে কালছরণ করিতে লাগিল । তখন রীজ প্রজা সক இ.
