পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

སཾ། ཧྥ་ দেবীরবিমল ৷ দুৰ্দ্ধৰ্ষ নরসিংছ এই সকল মহীয়সী নীতি-গর্ভ উপদেশ শ্রবণে অতিশয় বিরক্ত হইল, ও মনে মনে বিবেচনা করিল, অরবিন্দ আমার প্রিয়কর্ষ্য সাধনের প্রতিবন্ধক হইয়াছে, অতএব ছলে বলে কৌশলে, যে প্রকারে ছয় ইহাকে রাজ্য হইতে নিষ্কাশিত করিতে হুইবে । বোধ হয় এই জন্যই বুধগণ প্ৰমুখের হিত করিলে বিপরীত হয়” এই মহকথাটি অস্ত্ৰেড়িত করিয়াছেন। হায়! অরৰিন্দ মনে করিয়াছিলেন, এই সকল হিতোপদেশ দ্বারা ভূরাত্মার চরিত্র শোধন পুরঃসর উহাকে স্বপসনের উপযুক্ত করিবেন ; কিন্তু তাছার গ্রহবৈগুণ্যে বিপরীত হইল । একদা ঐ স্বশংস বাহ সৌহার্দ প্রকাশপূৰ্ব্বক অরবিন্দকে সম্বোধন করিয়া কছিল, “মন্ত্রিবর! বহুকাল যাবত অামার বন-বিহার করা হয় নাই, অতএব আগত কল্য বন-বিহারে যাত্রা করিব ; আমার নিতান্ত বাসন যে তুমি আমার সমভিব্যাহারী হও ; কারণ সে স্থানে বিবিধ বিস্ময়কর ও অভিনব বস্তু দেখা যাইবে, তুমি ও আমি একত্রে তাছার উৎকর্ষপকর্ষ স্থির করিব, নতুবা অন্য কেহই উক্ত ব্যাপারে সমর্থ হইবেন। শুদ্ধাত্ম অরবিন্দের অন্তঃকরণে অবিশ্বাস মাত্র ছিল না, সুতরাং মনের সারল্য-প্রযুক্ত কোন প্রকার বিশ্বাস-ঘাতকতা বা কপটতা বিষয়ে সন্দিহান ন হইয়া, ঐ স্থশংসের কথাক্রমে জিগমিষা প্রকাশ করিলেন । পরদিন প্রত্যুষে গাত্রোথান করিয়া জ্বরাচার মরসিংহ ত্বরায় যাত্র। করিতে উদ্যোগ করিল ; এবং কিঞ্চিৎকাল মধ্যেই সকল প্রস্তুত হওয়াতে উপযুক্ত পথের সমভিব্যtছরে অরবিন্দকে লইয়। মহা সমারোহে বন-বিছরে যাত্রা করিল।