পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । $33. শীল এবং অন্তঃকরণ দুৰ্ব্বল । রাজার স্বয়ং যত কেন ন্যায়-বান্‌ ও রাজ-নীতিজ্ঞ হউন না, সমর সময় উছাদের মানসিক-গতি বিপরীত বিষয়ে ধাবিত ছয় এবং ভ্রম কুঙ্কটিকা ভঁছাদের হৃদয়াকাশ আচ্ছন্ন করিয়া ফেলে ; সুতরাং তৎসাময়িক উদেযাগ সকল নিরঙ্কুশে অপকর্ষে পরিণত হয়। এমত স্থলে যদি প্রাজ্ঞ মন্ত্রির সুমন্ত্রণ-রূপ সম্মার্জনী দ্বারা ভঁাহীদের মন-মুকুর পরিস্থত হয়, তবে তৎক্ষণাৎ ভাছাদের ভ্রমকুজ্জটিকাচ্ছন্ন হৃদয়কাশে জ্ঞান-ভানুর উদয় হয়, সুতরাং অপকৰ্ম্ম হইতে বিরত হন। কিন্তু তদ্বিপরীতে যদি এমত স্থলে কুমন্ত্রণার পোষকত প্রাপ্ত হন তবে অীর অনিষ্ট ঘটনার পরিসীমা থাকে ন। এজন্য রাজাদিগের সাতিশয় অনুধাবনপূর্বক মন্ত্রী নিয়োজন করা উচিত । অপিচ মনুষ্যের যৌবন কাল অতি বিষম কাল। এই কালে শরীরস্থিত রিপুচয় প্রবল হইয়। মদ-কল মাতঙ্গের দ্যায় মানসেপড়ানে ভ্রমণ করিতে থাকে এবং মনো-রূপ পুষ্প রক্ষস্থ দয়া ধৰ্ম্মাদি-রূপ কোমল কলিকা সকল ভগ্ন করিবার উদ্যোগ করে । অতএব ঈদৃশ ভয়ঙ্কর সময়ে রাজত্ব গ্রহণ করিলে সমধিক সাবধান থাকিতে হয় ’ । অরবিন্দ আরো বলিলেন, “যে অনছ্যন্ত-পুৰুষ অখণ্ড ব্রহ্মাণ্ডের স্বষ্টি করিয়াছেন, র্যাছার কৰুণ-বারি অহৰ্নিশি সকলের প্রতি অপৰ্য্যাগু-রূপে বর্ষণ হইতেছে, যিনি আৰম্ভ আবিনশ্বর জ্ঞান স্বরূপ, যিনি সৰ্ব্বক্ষণ অখণ্ড-রূপে সৰ্ব্বস্থানে বিরাজমান রছিয়াছেন, যিনি অন্তর্যামী রূপে সকল জীবাত্মীয় অধিষ্ঠান করিতেছেন, উপযুক্ত কাৰ্য-কলাপ সেই সৰ্ব্বশক্তিমান বিশ্বধ্যের পরমেশ্বরের অভিপ্রেত” । ,