পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । \ሙላ

  • গুণ-সম্পন্ন পুৰুষ যে দর্শন করে নাই, তাহার নেত্রই বিফল ! লোকে যে বলিয়া থাকে এক-স্থানে সমুদায় সেন্দির্ঘ্যের সুন্দররপ সমাবেশ ছয় না, সে কথা আছা হইতে অলীক হুইল । এইরূপে উভয়ের সৌন্দর্ঘ্যে উভয় আকৃষ্ট হুইয়া নিমেয-শূন্ত লোচমে পরস্পরের প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া থাকিলেন ।

প্রণয়ের কি অনিৰ্ব্বচনীয় প্রভাব! রাজকুমার ও রাজকুমারী প্রথম সন্দর্শনেই প্রণয়-পাশে বদ্ধ হুইয়া পরস্পরের হস্তে পরস্পর মম প্রাণ সমুদায় সমপণ করিলেন, চিত্ত-বৃত্তি বা অভিপ্রায় কিছুই পরীক্ষার অপেক্ষা করিলেন না । চন্দ্রপ্রভ। রাজকুমারকে দর্শনাবধি বার স্বার ঈষৎ-হাস্য, কটাক্ষপাত ও অনুরাগ সঞ্চারের চিহ্নস্বরূপ বিবিধ বিলাস প্রকাশ করিতে লাগিলেন । তদর্শনে রাজকুমার সাতিশয় প্রফুল্ল হইয়া বিবেচনা করিলেন, মকরকেতু বুঝি আমার প্রতি সদয় হইয়া স্বপমন্দিনীদ্বারা এই সকল বিলাস প্রকাশ করাইতেছেন । ফলতঃ মন্মথের উপদেশ ব্যতিরেকে কামিনীগণ কর্তৃক এরূপ বিলাস কখন প্রকটিত হয় না। অনস্তর রাজকুমার চন্দ্র প্রভাকে সম্বোধন করিয়। কছিলেন, “অরি আয়ত-লোচনে ! তোমার পরিচারিক। প্রমুখাৎ শ্রত হইয়াছি, গতকল্য কোন তমাল-মূলে এক পুৰুষকে অবলোকন করিয়া না কি তুমি অতিশয় বিকল-চিত্ত হইয়াছ । ইছা কি সত্য ? যদি যথার্থ হয় তবে ঐ পুৰুষের অরুতি প্রকৃতি ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কিঞ্চিৎ বর্ণনা কর ; আমি সাধ্যানুসারে তাছাকে অন্বেষণ করিয়া আনয়ন পূর্বক তোমার মনোরথ পূর্ণ করিতেছি ।” রাজকুমারী লজ্জায় মুখাবমত করিয়া মুকুলিতাক্ষী হুইয়৷ রছিলেন। কিন্তু স্বপনন্দন নিৰ্ব্বন্ধতিশয় সহকারে পুনঃ পুনঃ