এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেবী রাবিয়া।
নন্দন-কাননের শোভা বিস্তার করিয়া রহিয়াছে। সে জলাশয়ের পারে যেন প্রীতি, আনন্দ ও শান্তি গলাগলি করিয়া মিলিয়া রহিয়াছে।
এই নন্দন-কানন স্থিত জলাশয়ের স্নিগ্ধ জল, গাছের শীতল ছায়া, সুগন্ধি ফুল, সুপক্ব ফল, সুন্দর পাখী,―মনোহর হরিণ, নয়ন রঞ্জক লতা পাতা―সমস্ত মিলিয়া যেন প্রীতিপূর্ণ হৃদয়ে শ্রমাতুর বৃদ্ধকে ডাকিয়া বলিতেছে,―“এস তৃষিত পথিক সুজন! এস শ্রান্ত পথিক, এস! স্বর্গরাজ্যে এস! তুমি পথিক বড় কষ্ট পাইয়াছ, পিপাসায় তোমার বুক ফাটিয়া যাইতেছে, রোদে তোমার মস্তক পুড়িয়া যাইতেছে, শরীর জ্বলিয়া যাইতেছে! এস শ্রান্ত, এখানে আসিয়া ক্ষণিক বিশ্রাম কর! এসহে পথিক, এই নির্ম্মল জল পান করিয়া তৃপ্ত হও, শ্যামল তরুর ছায়ায়
১৯