এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেবী রাবিয়া।
বসিয়া প্রাণ জুড়াও, পাখীর গান শুনিতে শুনিতে, হরিণের নাচ দেখিতে দেখিতে তোমার ক্লান্তি দূর কর! এস, তুমি বড় কষ্ট পাইয়াছ পথিক, এস!”
এই মনোহর দৃশ্য দর্শনে বৃদ্ধের মুগ্ধনয়ন মধুর ভাবে পূর্ণ হইয়া উঠিল। বৃদ্ধ ইস্মাইল ভাবিলেন, সত্যই বুঝি আমার কষ্ট দূরীভূত হইবে। প্রাণ ওষ্ঠাগত, সম্মুখে আশাতীত স্বর্গ রাজ্য―এত দুঃখের পর যে এমন সুন্দর সুখের বন্দোবস্ত ঘটিয়াছে, ইহা মনে করিয়া বৃদ্ধ রুদ্ধ-কণ্ঠে অশ্রু বিসর্জ্জন করিলেন।
বৃদ্ধ চলিতে চলিতে আবেগ-উৎসাহ মিশ্রিত হর্ষ পুলকিত স্বরে বলিতে লাগিলেন,―“এত দয়া তোমার পরমেশ্বর! না শীঘ্র চলি। ঐ যে বিধাতার করুণাময় হাত খানি মোহন লতাররূপ
২০