পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ՏԳ বিকাশলাভ সকল সময়ে ঘটিয় উঠে না। চিত্তরঞ্জনের ভাগ্যেও তাহাঁই ঘটিল। ব্যারিস্টারীতে র্তাহার স্বভাবসিদ্ধ প্ৰতিভা সহায়-সম্পদ অভাবে রুদ্ধ হইয়া রহিল। এইরূপে ষোলটি বৎসর তিনি কষ্টেট অতিবাহিত করেন । এই সময় তিনি সামান্য যাহা কিছু আয় করিয়াছিলেন, সমস্তই মফঃস্বলে ঘুরিয়া করিতে হইয়াছিল । এই কায়বৎসরের সামান্য আয় হইতে তিনি ৬৭,০০০২ টাকা সংস্থান করিতে সমর্থ হন । ইহাই তাহার পিতৃ-ঋণের পরিমাণ। এই ঋণ গলিত সীসার মত দিবারাত্র তাহার মনে সুতীব্ৰ বেদন জাগাইয়া রাখিত । সুতরাং প্রথম হইতেই তঁহার চেষ্টা ছিল, এই ঋণ পরিশোধ করা । যখন তিনি উক্ত পরিমাণ অর্থ সংগ্ৰহ করিতে সমর্থ হইলেন, তখন পিতার উত্তমণদিগকে খুজিয়া বাতির করিয়া তাঙ্গাদের প্রাপ্য অর্থ দিয়া দিতে লাগিলেন । কিন্তু তঁহার গুণের মূল্য চিরকাল অপ্ৰকাশ রহিল না । তঁহার উপেক্ষিত শক্তি একটি উপলক্ষের আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়া স্বপ্রকাশিত হইয়া পড়িল । ইহা ১৯০৮ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রসিদ্ধ রাজনীতিক ষড়যন্ত্রের মামলার বিখ্যাত আসামী শ্ৰীযুক্ত অরবিন্দ ঘোষের পক্ষ সমর্থন । অরবিন্দ ঘোষের পক্ষ সমর্থনা করিয়া তিনি যে কয়টি জ্বলন্ত বক্তৃতা প্ৰদান করিয়াছিলেন, তাহাতেই তাহার ব্যবহার-শাস্ত্রের অসাধারণ বুৎপত্তি চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িল । শোনা যায়, এই মামলা পরিচালনায় তিনি এক কপর্দক অবধি • গ্ৰহণ করেন নাই। এই সময় সংসারের ব্যয়-নির্বাহের জন্য তঁহাকে তাহার গাড়ী-ঘোড়া পৰ্য্যন্ত বিক্রয় করিতে হইয়াছিল। এই