পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশবন্ধু-কথা سb ত্যাগের ফল সঙ্গে সঙ্গেই ফলিল । ব্যবহারাজীবরূপে তাহার যশঃ , চতুর্দিকে পরিব্যাপ্ত হইয়া গেল। এই মামলার পর তঁাহাকে অনেক বড় বড় মামলায় নিযুক্ত করা হয় এবং তিনিও অবিলম্বে সকলপ্রকার ফৌজদারী ও দেওয়ানী মোকদ্দমায় অপ্রতিদ্বন্দী কাউন্সেলরূপে খ্যাতিলাভ করেন। তিনি যখন ব্যারিস্টারী কাৰ্য্য পরিত্যাগ করেন, তাহার অব্যবহিত পূর্বে ভারত সরকার কর্তৃক ‘মিউনিসন বোর্ডের মামলায় নিযুক্ত ছিলেন । এই সময় তিনি সহস্ৰ সহস্র অর্থ উপাৰ্জন করিতেন । একদিকে যেমন তিনি সহস্ৰ সহস্র অর্থ উপাৰ্জন করিতেন, অন্যদিকে তেমনই মুক্তহস্তে দান করিতেন। তঁহার দানের অন্ত ছিল না। শত শত অন্ধ, দরিদ্র, তাহার অর্থে প্ৰতিপালিত হইত। বাঙ্গালার যুবকসমাজ তাঁহাকে ভাল করিয়াই চিনিত । যে র্তাহার নিকট যাহা চাহিয়াছে, সে তাঁহাই পাইয়াছে। প্ৰত্যহ কত সাহিত্যকার, বিদ্বান, সঙ্গীতজ্ঞ প্ৰভৃতি গুণী তাহার নিকট যাইতেন, এবং তিনি তাহদের যে কোন অভাব বা অসুবিধা দূর করিতে পারিলে নিজেকে কৃতাৰ্থ মনে করিতেন। কাহারও হয় ত’ অসুখ হইয়াছে, অর্থাভাবে বায়ু-পরিবর্তনের জন্য কোথাও যাইতে পারিতেছেন না,-চিত্তরঞ্জন সেই কথা শুনিয়াই প্ৰয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ তাহাকে দান করিয়া দিলেন। সন্ধ্যার পর যে কেহ তাহার বাড়ীতে গেলে খাইয়া আসিতে হইত। ঐ রূপে রাত্ৰিতে তাহার বাড়ীতে প্ৰায় এক শত পাতা পড়িত । সকলকে পরিতোষসহকারে ভোজন করাইয়া তিনি নিজের গাড়ী দিয়া বা অন্য ভাড়াটে