পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

„Gtve দেশবন্ধু-কথা দেন রয়েছে, ঐ গুলো শোধ হ’য়ে গেলেই ব্যবসা ছেড়ে সম্পূর্ণভাবে দেশের কাজে লাগবে । কিন্তু বছরের পর বছর যাচ্ছে ঋণ আমার বেড়েই চলেছে। নিজের জন্য ভাবি না—কষ্ট কি, প্রথম জীবনেই দেখেছি। ট্রামের ভাড়া বাঁচাবার জন্যে হাইকোর্ট থেকে বিকেলে ফেরবার সময় হেঁটে এসেছি এবং এমন দিনও গেছে যেদিন হয়তো দুই আনা বই পরিবারের সম্বল ছিল না । আর যদি দশ বছরই বঁচি, প্র্যাকটিস ছাড়লেও একরকম ক’রে সুখে দুঃখে যাবে, কিন্তু একটা কেবল ভাবনা হয়, অনেকগুলো লোক আমার কাছে মাসিক সাহায্য পায় ; সে বেচারাদের কি হবে ? যাই হোক, এত না ভেবে ঝাঁপিয়ে না পড়লে হবে না । তোমরা এ সম্বন্ধে কি বল ?” আমরা উত্তর করিলাম, “অনন্যকৰ্ম্ম হ’য়ে দেশসেবায় না। নামলে দেশের বিশেষ কিছু করা যাবে না।” মিউনিশন বোর্ডের কেস ও ডুমরাওন কেস করিতে তিনি প্ৰতিশ্রুত ছিলেন, কিন্তু দেশের কাজ হইয়া উঠিবে না বলিয়া তিনি এগুলিও ছাড়িয়া দিতে চাহিয়াছিলেন। পুলিশের অন্যতম কৰ্ত্ত আমষ্ট্রং সাহেবের জিদে মিউনিশন বোর্ডের মামলা চিত্তরঞ্জনের হাতে আসে ; কারণ অন্য কোনও ব্যারিষ্টারের উপর গভর্ণমেণ্টেরও এত বিশ্বাস ছিল না। এই মামলার কাগজপত্ৰ দেখিবার ‘’ফি’ তিনি ৫০ হাজার টাকা পাইয়াছিলেন । যে দিন এই মামলা ফেরৎ দেওয়ার কথা হয়, তখন আমি ঘরে বসিয়াছিলাম। গবৰ্ণমেণ্ট পক্ষ হইতে বোধ হয় ডিরেক্টর অব ইনডাষ্ট্রীস মীক সাহেব আসিয়াছিলেন।