পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vo বিপুল ঋণ-ভারের উপর আরও ত্ৰিশ হাজার টাকা ঋণ করিয়া নির্বাচুনের খরচ চালাইতে লাগিলেন। ফল কিরূপ হইল, চিত্তরঞ্জনের নেতৃত্বে স্বরাজ্য দল কাউন্সিলে কিরূপ প্ৰভুত্ব লাভ করিল, তাহা সকলেই জানেন। কিন্তু এই সাফল্যের মূলে তাহার প্রবল ইচ্ছা-শক্তি, হার না মানিবার দিকে তাহার কঠোর ংকল্প । wk তঁহার হৃদয়ে একদিকে যেমন ছিল তার না মানিবার দৃঢ়ংকল্প অন্যদিকে তেমনই ছিল দৃকপাতশূন্য, বে-পরোয়া ভাব। লাভ লোকসান খাতাইয়া দেখা তাহার কোনও কালে আসিত না । একটা কাজ ভাল যখন বুঝিয়াছেন তখন তাঙ্গা করিতেই হইবে, তা ফল যাহাই হউক না কেন। সকলেই জানেন যে বিপুল উপাৰ্জন করা সত্ত্বেও দেশবন্ধুর অনেক ঋণ ছিল। যখন তিনি ব্যারিস্টারএর ব্যবসা ছাড়িয়া দিলেন তখনও তাহার অনেক লক্ষ টাকা দেন । পক্ষান্তরে তখন তাহার ব্যবসায়ে প্রতিপত্তির পূর্ণ জোয়ার। বৎসরে বোধ হয় পাঁচ লক্ষ টাকা উপাৰ্জন করিতেছেন। আর দুই এক বৎসর ব্যবসা চালাইলেই বোধ হয় একেবারে ঋণ-মুক্ত হইতে পারেন। কিন্তু এই দুই এক বৎসর অপেক্ষা করা তাহার কোঠিতে লেখে নাই। ১৯২১ সালের জানুয়ারী মাসে অসহযোগ-ব্রত গ্ৰহণ করিয়া যে দিন বুঝিলেন ইংরাজের আদালতে ব্যবহারাজীব সাজিয়া দাড়ান অন্যায়, সেই ঐদিনই পরিণামের দিকে দৃকপাতমাত্র না করিয়া অগাধ উপাৰ্জনের প্ৰলোভন হেলায় ত্যাগ করিয়া একেবারে রাস্তায় গিয়া