পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o কিন্তু আপনিই আজ মহাত্মার প্রস্তাব পাস করাইয়া দিলেন ।” দাশ মহাশয় হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “অসহযোগের বিরুদ্ধে হইলেও আমার মহাত্মার উপর খুব ভক্তি, TONK Mahatma can't bear a defeat (2t2, as Kisis (fSCS পারেন না ) । কথাটা মহাত্মার সম্বন্ধে খাটে কিনা জানি না, বরং দেখিতে পাইতেছি যে মহাত্মাজী হার মানিয়া লইতে খুব প্ৰস্তুত, যেন হারিতে পারিলেই খুব খুর্সী ; কিন্তু কথাটা চিত্তরঞ্জনের সম্বন্ধে যে বর্ণে বাণে খাটে সে বিষয়ে আর সন্দেহ নাই । কোন বিষয়ে হারিতে হইবে, তা সে মোকদ্দমাতেই হউক, আর কংগ্রেস, কাউন্সিলের ব্যাপারেই হউক, একথা তিনি কিছুতেই সহ্যু করিতে পারিতেন না । হারের সম্ভাবনা দেখিলেই উত্তপ্ত ও অসহিষ্ণু হইয়া পড়িতেন। শেষ মুহূৰ্ত্ত পৰ্যন্ত সমগ্ৰ শক্তি প্রয়োগ করিয়া লড়িতেন এবং প্রায়ই দেখিতাম, হারকে জিত করিয়া ছাড়িতেন । ১৯২৩ সালের কাউন্সিল-নির্বাচনের ব্যাপার এই বিষয়ের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কাউন্সিলে ঢুকিতে হইবে এই ঠিক করিয়া দেশবন্ধু যখন স্বরাজ্য দল গঠন করিলেন, তখন নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করিবেন। একথা কেহ কল্পনাতেও আনে নাই । খবরের কাগজে আঁকি কষিয়া লোকে দেখাইয়া দিল, দেশবন্ধু কিছুতেই জিতিতে পারেন না । কিন্তু বাহির হইতে যত বাধা পাইতে লাগিলেন দেশবন্ধুর ততই জেদ বাড়িয়া যাইতে লাগিল। হাতে টাকা নাই। অথচ নির্বাচন ব্যয়-সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু এমনিই জেদ যে