১৮ দেশবন্ধ রচনাসমগ্র ইংরাজী সভ্যতার সেই প্রখর অালোক সংযতভাবে ধারণ করিতে পায়িলাম না। অন্ধ হইয়া পড়িলাম। অন্ধকারাক্রান্ত দিগ প্রান্ত পথিক যেমন বিস্ময়ে ও যোহ বশতঃ আপনার পদপ্রান্তস্থিত সুপথকে অনায়াসে পরিত্যাগ কম্নিয়া, বহুদূৰ তুর্গম পথকে সহজ ও সন্নিকট মনে করিয়া, সেই পথেই অগ্রসর হয়, আমরাও ঠিক সেইরূপ নিজের ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম সকলই অবলীলাক্রমে পরিত্যাগ করিয়া নিজের শাস্ত্রকে অবজ্ঞা করিম, নিজের সাহিত্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করিয়া, আমাদের জাতীয় ইতিহাসের ইঙ্গিতকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করিয়া ইংরাজের সাহিত্য, ইংরাজের ইতিহাস, ইংরাজের জ্ঞান ও বিজ্ঞানের দিকে নিতান্ত অসংযতভাৰে যুকিয়া পড়িলাম। সেই ঝেনকি অনেকটা কমিয়া৷ আসিয়াছে সত্য, কিন্তু এখনও একেবারে যায় নাই। রামমোহন যে দেশে “বিজ্ঞানের তুর্যধ্বনি করিয়াছিলেন, আমরা তাহাই শুনিয়া ছিলাম ব। মনে করিয়াছিলাম শুনিয়াছি, অন্ততঃপক্ষে বিজ্ঞানের বুলি আওড়াইতে আরম্ভ করিলাম। কিন্তু রামমোহন যে গভীর শাস্ত্রালোচনায় জীবনটাকে ঢালিয়া বিয়ছিলেন, তাহার দিকে ত আমাদের চোখ পড়ে নাই। তিনি যে আমাদের সভ্যতা ও সাধনার মধ্যে আমাদের উদ্ধারের পথ খুজিয়াছিলেন, সে কথ৷ ত আমরা এক বারও মনে করি নাই। তার পর দিন গেল। আমাদের স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠিত হইল, আমাদের ঝোকটা আারও বাড়িয়া গেল। তারপর বঙ্কিম সৰ্বপ্ৰথমে বাললার মূর্তি গড়িলেন, প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিলেন { বঙ্গজননীকে দৰ্শন করিলেন। সেই “মুজাং সুফলাং মলয় জ শীতলাং শস্তথা মলাং মাতরম’তাহারই গান গাহিলেন। সবাইকে ডাকিয়া বলিলেন, ““দেখ, দেখ, এই আমাদের মা, বরণ করিয়া ঘৱে তোল।” কিন্তু আমরা ত তখন সে যুক্তি দেখিলাম না; সে গান গুনিলাম না। তাই বঙ্কিম আক্ষেপ করিয়া বলিয়া ছিলেন, “আমি একা মা মা বলিয়া ৱেদন করিতেছি।” তারপর শশধর তর্কচূড়ামণির হিন্দুধর্মের পুনরুত্থানের আান্দোলন। এই আন্দোলন সম্বন্ধে আমাদের দেশে অনেক মতভেদ আছে। কেহ বলেন, উই। আমাদের দেশের অনেক অনিষ্ট করিয়াছিল, আবার কেহ কেহ বলেন উচ্ছা আমাদের অশেষ উপকার সাধন করিয়াছিল। সে সব কথা লইয়া আলোচনা কর। আমি আাবস্তক মনে করি না। এই আন্দোলন যে অনেক দিকে একেবারেই অল্প ছিল, তাই আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু আমি যেন সেই আন্দোলনের মধ্যেই বাগাসী জাতির, অন্ততঃপক্ষে শিক্ষিত বাঙ্গালীর জ।“ হইবার একট। প্রয়াস—-একটা উস্তন দেখিতে পাই। সেইটুকুই আষামের লা। তারপর অারও দিন গেণ। ১৯৪৩ খৃঃ হইতে স্বদেী মাবোননের
পাতা:দেশবন্ধু রচনাসমগ্র.pdf/৩৮০
অবয়ব