পাতা:দেশবন্ধু রচনাসমগ্র.pdf/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশবন্ধু রচনাসমগ্র স্বং হি প্ৰাণা: শরীরে। বাহুতে তুমি মা শক্তি হৃদয়ে তুমি মা ভক্তি তোমারি প্রতিমা গড়ি মন্দিরে মন্দিরে—” সেই মাকে দেখিলাম। বঙ্কিমের গান আমাদের “কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল।” বুঝিলাম, রামকৃষ্ণের সাধনা কি—সিদ্ধি কোথায়! বুবিলাম, কেশবচন্দ্র কেন কাহার ডাক শুনিম্ন ধর্মের তর্করাজ্য ছাড়িয়া মম্রাজ্যে প্রবেশ করিয়াছিলেন। বিবেকাননের বাণীতে গ্রাণ ভরিয়া উঠিল। বুবিলাম, বাঙ্গালী হিন্দু হউক, মুসলমান হউক, খৃষ্টান হউক, বাঙ্গালী বাঙ্গালী। বাঙ্গালীর একটা বিশিষ্ট রূপ আছেএকটা বিশিষ্ট প্রকৃতি আছেএকটা স্বতন্ত্র ধর্ম আছে। এই জগতের মাঝে বাঙ্গালীর একটস্থান আছেঅধিকার অাছে, কৰ্ত্তব্য আছে বুঝিলাম, বাঙ্গালীকে প্রকত বাঙ্গালী হইতে হইবে। বিশ্ববিধাতার যে অনন্ত বিচিত্র সৃষ্টি, বাঙ্গালী সেই দৃষ্টিস্রোতের মধ্যে এক বিশিষ্ট সৃষ্টি। অনন্তরূপ লীলাধারের রূপবৈচিত্র্যে বাঙ্গালী একটি বিশিষ্টপ হইয়া ফুটিয়াছে। আযায় বাঙ্গলা৷ সেই রূপের মূৰ্ত্তি; আমার বাঙ্গল সেই বিশিষ্টরূপের প্রাণ। যখন জাগিলাম, মা আমার আপন গৌরবে তাহার বিশ্বরূপ দেখাইয়া দিলেন। সে রাপে প্রাণ ডুবিয়া গেল। দেখিলাম, সে রূপ বিশিষ্ট, সে অনন্ত! তোমরা হিসাব করিতে হয় কর, তর্ক করিতে চাও কর-আমি সে রাপের বালাই সইয়া মরি। খদেশী আনোলন হিসাব না করিয়াই আসিয়াছিল, হিসাব না করিয়াই চলিয়া গেল। কিন্তু এখন আমাদের হিসাব করিবার সময় আসিয়াছে, ম দেখা দিয়াছেন। - এখন যে পূজার আয়োজন করিতে হইবে। হিসাব করিয়' স্কর্য তৈরারী করিতে হইবে, হিসাব করিয়া পূজার উপকরণ সংগ্রহ করিতে হইবে। এই যে মহ৷ ব্যায় দেশ ভাসিয়া গিয়াছিল, এখন যে সব পতিত জমি সাবাদ করিয়া সোনা ফলাইতে হইবে। বিশ্বাস রাখিও, সোনা কলিবেই। এখন আমাদের বিচার্য্য যে, কেমন করিয়া এই নব-জাগ্রত বাঙ্গালী জাতিকে সম্পূর্ণরূপে বিকশিত করিয়া তুঙ্গিতে পারি। সেই সেই দিক দিয়াই কারণে য়েখিতে হইবে, জামাদের বিকাশের জচ্চ্য কি কি আবভক এবং তাহা কি করিয়া পাইতে পারি। এই বিচার লইয়াই সপ্রতি একটা গোল বাধিয়াছে। ইউরোপে নাকি কোন কোন পণ্ডিত স্থির করিয়াছেন যে, এই যে জাতিগত ভাব-ইংরাজীতে