পাতা:দেশবন্ধু রচনাসমগ্র.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশবন্ধু রচনাসমগ্র জাতির উন্নতি হয় না, ঠিক তেমনি সেই একই কারণে সকল ভিন্ন ভিন্ন বিশিষ্ট জাতির উন্নতি না হইলে সমগ্র মানবজাতির উন্নতি হয় না॥ বাঙ্গালীর শিরায় শিরায় যে রক্তই প্রবাহিত হউক না কেন, সে রক্ত আর্য্যই হউক, কি অনার্থীই হউক, কি আৰ্য্য অনার্য্যের মিশ্রিত রক্তই হউক, যাহা সত্য, তাহ৷ সত্যকামের মত স্বীকার করিতে বাঙ্গালী কখনও কুষ্টিত হইবে না—বাদালীর শিরায় শিরায় যে রক্তই প্রবাহিত হউক না কেন, বাঙ্গালী যে বাঙ্গালী, সে কথা আর ত সে ভূপিতে পারে না, সে যে বাঙ্গলার মাটি বাঙ্গার জলে বাড়িয়া উঠিয়াছে, বাঙ্গলার মাটি বাজলার জলের সঙ্গে নিত্যই যে তাহার আদান প্রদান চলিতেছে। আর সেই আদান-প্রদানের মধ্যে যে একটা নিত্য সত্য জাগ্রত সম্বন্ধোর সৃষ্টি হইয়াছে, সেই সম্বন্ধের উপর বান্ধলার জাতিত্বের প্রতিষ্ঠা। অহাগ্য জাতির সহিত ব্যবসাবাণিজ্য শিক্ষা-দীক্ষার যে আদান-প্রদান, তাহাও এই জাতিত্বের লক্ষণ। জাতিত্বের গুণেই এক জাতি দান করিতেও সক্ষম হয়, গ্রহণ করিতেও সক্ষম হয়। ইহা সেই জাতির অবস্থার বিষয়, স্বভাবের বিষয়। তার পর বিরোধের কথা, জা তিত্বের প্রভাবে যে কতকটা বিরোধ জাগিন্না উঠে, তাহা অস্বীকার করা চলে না॥ সেও যে জাতির স্বভাবের ধৰ্ম্ম, তা! বলিয়াই জাতিগুলাকে উড়াইয়া দেওয়া যায় না। প্রত্যেক পরিবারমধ্যে প্রত্যেক সমাজে বিরোধ-বিসংবাদ ত লাগিয়াই আছে, তা বলিয়াই কি সেই ব্যক্তিগুলার অস্তিত্ব অস্বীকার করিতে হইবে, না উড়াইয়া দিতে হইবে? শত প্রকারের বিরোধ-বাদ-বিসংবাদের মধ্যেই মাসুষ মানুষ হইয়া উঠে ও মিলনের পথ খুজিয়া পায়। এই যে সব বিশিষ্ট জাতিসমূহ, ইহাদের পক্ষে ঐ একই কথা থাটে। এই বিরোধ-বিসংবাদ সংঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেই এই সব বিশিষ্ট জাতি সমস্ত মানবজাতির যে মিলন-মন্দির, সেই দিকে অগ্রসর হইতেছে ও হইবে। সংসারে প্রত্যেক জিনিসের প্রত্যেক ভাবের দুইটা মুথ আছেএই যে: বাদবিসংবাদ ইহারও দুইটা মুখ। আমরা এক মুখ দেখি, আর এক মুখ দেখি না। বিরোধ অাছে চক্ষে দেখিতেছি, যনে জনিতেছি, ইহাকে অস্বীকার করিতে পারি না, কিন্তু এই বিরোধেরই অপর মুখে যে মিলন, তাহ দেখিতে পাই না বলিয়া অস্বীকার করিয়া থাকি। ইউরোপে আজ যে ভীষণ সমরানল প্রজ্জলিত, এই অনলে ইউরোপের সকল ঈ, বিম্বেষ, দৈত, অপার শক্তির অভিমানজনিত যে হীনতা, অসীম স্বার্থপরতার যে মলিনতাসব পুড়িয়া ছাই হইয়া যাইগেছে। আমি দেখিতেছি, চক্ষে স্পষ্ট দেখিতেছি, এই পবিত্র ভক্ষ