পাতা:দেশবন্ধু রচনাসমগ্র.pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশের কথা ২০ সমাধির উপরে ইউরোপ তাহার মিলন-মনির খ্ৰীচনা করিতেছে। সকল প্রকার হীনতা ও স্বার্থপরতার ধৰ্ম্মই এই যে, সে নিজের আবেগে নিজের বিনাশ-সাধন করে এবং সেই বিনাশের মুখে পরমাসুরক্তি জাগাইয়া দেম্ব। সেই পর্যাংরক্তি না জাগিলে যথার্থ মিলন অসম্ভব। অনেকে হয় ত মনে করেন, এই যে কলিযুগের কুরুক্ষেত্র, ইহাতে ইউরোপের ধংস অবখ্যম্ভাবী। আমি। বলি, কখনও না। সকল যুদ্ধক্ষেত্র যে ধৰ্ম্মক্ষেত্র, সকল ইতিহাস যে ভগবৎ লীলার পৃত পুণ্য কাহিনী, ভারতের কুরুক্ষেত্রের ফলে কি তথনকার ভারত মিলনপথে অগ্রসর হয় নাই? নবজীবন লাভ করে নাই? আৰ্য অনার্থের মধ্যে কি একটা স্বাভাবিক মিলন সংঘটিত হয় নাই? আমর। অমঙ্গলের দিকটাই দেখি, কিন্তু তাহার সঙ্গে জড়িত যে মঙ্গল, সেই দিক দেখিতে ভুলিয়া যাই। ইউরোপ আজ অসীম ছঃখ-কষ্ট, যাতনা-বেদনা, অৰ্ধ-অনশনের মধ্যেই মিলনপথে পা বাড়াইয়াছে। অহঙ্কারের অবসান না হইলে প্রেমের জন্ম হয় না। এই টুঃখ-কষ্ট আজ ইউরোপকে ব্যথিত করিয়া তুলিয়াছে, ইহা সেই প্রেমমিলনের আগমনপ্রতীক্ষার প্রসববেদনা॥ এই সমরা নল নিৰ্বাপিত। হইলে দেখিতে পাইবে, ইউরোপ আপনার স্বার্থপরতাকে ছাড়াইয়া উঠিয়াছে। বিশ্বাস করিও, একদিন দেখিবে, যে প্রবল প্রতিত বেগে ইউরোপ আজ। তাহার স্বার্থ খুঁ জিয়া বেড়াইতেছে এবং সমস্ত প্ৰাণপণ দিয়া সেই স্বার্থপরতাকেই পোষণ করিতেছে, সেই ইউরোপ তেমনি অপ্রতিহত বেগে ঠিক সেই রকম সমস্ত প্ৰাণপণ দিয়া সে নিজের ও জগতের যথার্থ মঙ্গল সাধন করিতেছে। এই সমর, এই বিরোধ যে জাতিত্বের ফল, তাহ৷ আমি স্বীকার করি, কিন্তু এই সমৱক্ষেত্রের অপর পারে যে মিলনমন্দির রচিত হইতেছে, তাহাও এই জাতিত্বেরই ফন্স, সে কথা অস্বীকার করিলে চলিবে কেন? যদি কোন দিন মুদূর ভবিষ্যতে সমন্ত মানব জাতি লইয়া একটা যুক্তরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে বুঝিতে হইবে যে, তখন সমস্ত বিশিষ্ট জাতিগুলি নিজ নিড় স্বভাব ধর্মের পথ অবলম্বন করিয়া অপূর্বরূপে বিকশিত হইয়াছে এবং সেই ধূক্তয়াজ্যে সকল জাতিরই সমান অধিকার। কিন্তু আমার মনে হয়, এই বিশিষ্ট জাতি সমূহ সেই অবস্থায় উপস্থিত হইসে সমস্ত মানবজাতির কল্যাণের জষ্ট কোন বাজত্বেরই অবখ্যক হইবে না। এই যে বাঙ্গালী জাতির জাতিত্বের দাবী, ইহার সম্বন্ধে আরও দুই একটি কথাৰ আালোচনা আাবখ্যক। আমি এমন কথা শুনিয়াছি, আমার কাছেই