পাতা:দেশবন্ধু রচনাসমগ্র.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশেয় কথা আমরা কথায় কথায় বলিয়া থাকি, আমাদের দেশে ইংরাতের আগমন বিধির বিধান। আমার প্রদ্ধেয় বন্ধ তার সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহ ১৯১৫ : জন্ধের কংগ্রেসের সভাপতির অভিভাষণে এই কথাই বলিয়াছেন—এই কথার গুড ফর্ম কি তাষ ভাল করিয়া বুঝিতে হইবে। এই কথার সঙ্গে সঙ্গে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের মিলন সম্বন্ধে আমরা অনেক কথা বলিয়া থাকি । এই দুইটি কথাই মূলে এক কথ। প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের মিলন সম্ভবপর কিনা, এই বিষয়ে যে ‘অনেক মতভেদ মাছে । সেই সব ভিন্ন ভিন্ন মতের মর্ম কথাটি কি, তাহ তলাইয়৷ বুধিলে জাতির জাতিত্বের কথা আরও পরিষ্কার হইয়া উঠিবে । Keepling লিখিয়াছিলেন—“The East is East and the West is 'west, never the twain shall meet.” অর্থাৎ প্রাচ্য ও প্রতীচ্য চিরকালই ভিন্ন ভিন্ন থাকিবে, তাহাদের মিলন অসম্ভব । আ৷ বার বিলাতে ও আমাদের দেশে এমন অনেকে আছেন, যাহারা বলেন যে, এই মিলন একেবারে অবশ্যম্ভাবী। স্টার রবীন্দ্রনাথ এবার আমেরিকায় বলিয়াছেন যে, জাতির বদলে একটা Universal brotherhood of man kind হুইবে অর্থাৎ সমস্ত মানবজাতি ভ্ৰাতৃভাবে একত্র হইবে। বোম্বাইএর কংগ্রেসে স্টার সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন বলিয়াছেন : “The East and the west have metnot in vain —. The invisible scribe, who has been writing the most marvellous history that has ever been written, has not been idle. Those who have the discernment and the inner vision to see will note that there is only one goal, there is only one path. অর্থাৎ—প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের মিলন ব্যর্থ হয় নাই, যে অদৃষ্ঠ্য বিধাতাপুরু। এতাবৎকাল পর্যন্ত রচিত ইতিহাসের পৃষ্ঠায় ঘে আশ্চৰ্য্য লেখা লিখিতেছেন, তিনি ত নিশ্চিন্ত হইয়া নাই । ধাঁহাদের বিচারবুদ্ধি ও দিব্যচক্ষু আছে। তাহার বলিতেন যে, প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের একই ইষ্ট, একই পন্থা। এই বিষয়ে আমি যতই চিন্তা করিমনে হয়, এই দুইটা কথা সত্য, আবার দুইটা কথাই মিথ্যা, ইহার কোনটাই একেবারে সত্য নয়। টুইট একেবারে বিপরীত রকমের সভ্যতা ও সাধনা লইয়া এই যে প্রাচ্য ও প্রতীচ্য, ইহাদের মধ্যে মিলনের সম্ভাবনা কোথায়। প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের বদলে আমি ইংলণ্ড ও বাদলা দেশ প্ৰরিয়া দই, তাহা হইলে কথাটা অনেক পরিমাণে সরল হই! আসিবে । এই