পাতা:দেশবন্ধু রচনাসমগ্র.pdf/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ দেশবন্ধ রচনাসমগ্র ভাষাদের জন্ম-জৰিকার। আমাদের জবিকার কেন? অামাদের অধিকাৰ কাৰণ আমাদের যেটা প্ৰকতি তা অধিকার করা। যেমন অামার যদি কোন ঐশ্বৰ্য্য থাকে, অামি বলব এ ঐশ্বর্য্যে আমার অধিকার। স্বরাজ জামাদেৱ অন্তরে, প্ৰৱাল জামাদের । প্রবৃতি, আমাদের সত্য প্রবৃতি, সেইজ, স্বরাজে আমাদের জন্ম-অধিকার। বিধাতা সে অধিকার আমাদের দিয়েছেন। আমাদের যা গ্রকৃতি তা বিধাতার দান, বিধাতার লীল । দানের চেয়ে বড় বিধাতার সীশা । সমস্ত জগতের ইতিহাস বিধাতার যে অন্তরঙ্গ লীল, তারই বহিঃ প্রকাশ। সমস্ত ইতিহাস তাই, ভারতের ইতিহাস তাই । লীলাময়ের গুণ কি ? লীলাময়ের স্বরূপ কি ? তিনি চান বৈশিষ্ট্য । আমাদের বৈষ্ণব শায়ে বলে তিনি নিজেকে বহু ক’রে নিজে সে বহুত্ব উপভোগ করেন । মহাপ্রভু । এই কথা বলে গিয়েছেন। নিজেকে বহু করে সেই বহুকে তিনি আশ্বাধন করেন, সে আস্বাদন করার যে ফল সে ফল অন্তরঙ্গ লীলা নয়, সে ফল জগতের ইতিষ্ঠাস। তিনি যুগে যুগে নিজেকে বহু করেন, সুতরাং এই যে মহন্ত্য জাতি একে ভিন্ন ভিন্ন জাতি ক’রে—এর বৈশিষ্ট্য রক্ষা করেন স্বয়ং ভগবান। এই বিশিষ্ট প্রকৃতি দিয়েছেন স্বয়ং ভগবান্ রল করেন তিনি। সেইজষ্ঠ্য স্বরাজে জামাদের উন্ন-সিদ্ধ অধিকার। এর কর্তব্য কি একথা হিন্দু-মুসলমানকে বুঝাতে হবে না। ইংরেজের । রাজনীতি মানি না, তার ভিতর খুব কোন সত্য কথা থাকতে পারে না, অামার এই ধারণা। আামি অনেক পডেছি, এখনও মনে হয়—তার অধিকাংশ কথা ভূল। এই স্বৰাজে আমাদের অধিকার কেন বলছি। মাহুষের ধর্ম । বলতে কি বুৰি । যুগ-শদ বেজে উঠেছে, আর যুগ- ধৰ্ম্ম এগে ত৷ পালন করতে হয়। । এখন আমাদের কর্তব্য কি ? এই ভারতে নূতন জাতি গড়ে উঠেছে ভগবানের লীলায়। আমাদের অধিকার তার লীলায় যোগ দেওয়া। কারণ প্রত্যেক মানুষের কর্তব্য প্রত্যেক জাতির কৰ্ত্তব্য ভগবানের লীলাঁর সহচর হওয়া । আমাদের সহচর হতে হবে, অন্য উপায়। নেই। আজ কি কাল কি দু’দিন পরে সহজ পথে কি কুটীল পথে ভগবানের লীলার সহচর হতে হবে। এই যে বলেছি সহজপথে কি কুটীল পথে এই লীলার মধ্যে তিনি ডাকেন, কেমন করে তিনিই জানেন, কোন্ পথে তিনিই জানেন। এই যুগধনিই পথের সহচর। স্বরাজ-মাখনা আমাদের কর্তব্য, তার কারণ ভগবানের লীলায় তার সহচর আমাদের হতেই হবে । বাস্তবিক, জ্ঞা নে কি অজ্ঞানে জানি না কেহ একথা জানেন, কেহ জানেন না । যিনি ভাল করে জানেন, তিনি অনেক উপরে