পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১১৩

গাড়ীতে তদ্দেশীয় যাবতীয় প্রধান প্রধান নগর, দেবায়তন, ও তীর্থ ভ্রমণ করিয়াছিলেন। বৃন্দাবনে দশ হাজার টাকা ব্যয় করিয়া তত্রত্য উচ্চশ্রেণীস্থ চৌবে উপাধিধারী ব্রাহ্মণগণকে ভোজ দিয়া ছিলেন। তিনি যখন আগরার দুর্গ দর্শনে যান, তখন কতকগুলি খৃষ্টিয়ান্ সৈনিক তাঁহাকে আপনাদের উপাসনা গৃহের দুরবস্থা দেখাইয়া সাহায্য প্রার্থনা করে। দ্বারকানাথ সবিশেষ অনুসন্ধান। করিয়া তাহাদিগকে পাঁচশত টাকা দান করেন।

 বিলাতের সহিত ভারতবর্যের সংস্রব, এদেশের জ্ঞান, সভ্যতা ও উন্নতি পক্ষে বিশেষ সহায়তা করিয়াছে তাহার সন্দেহ নাই। বাষ্পীয় পোতই ঐ সংস্রব বন্ধনের প্রধান হেতু। যেমন স্থলপথে রেলওয়ে কোম্পানি, তেমনি সমুদ্র পথে কলের জাহাজ চালাইবার কোম্পানি আছে। ভারতবর্ষ ও ইংলণ্ডের মধ্যে ঐ কোম্পানির কার্য্য আরম্ভ করাইবার জন্য দ্বারকানাথ সবিশেষ যত্ন ও পরিশ্রম করিয়াছিলেন। তিনি দুরদর্শনের দ্বারা বুঝিয়া ছিলেন যে, এই সম্বন্ধে এদেশের বিশেষ উন্নতি হইবে। দ্বারকানাথ, ইংরাজী, বাঙ্গালা ও দ্বিভাষী সম্বাদ পত্র সকলের বিশেষ উৎসাহ দাতা ছিলেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করিতেন যে, সম্বাদ পত্রই, দেশের উন্নতি সাধনের প্রধান যন্ত্র। এইজন্য তৎকালীন প্রধান ইংরাজী সম্বাদ পত্রের উন্নতি সাধনে তিনি প্রধান সহায় ছিলেন।