পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১২৩

অনেকেই দেখিয়া থাকিবেন, (১৮৬৯ খৃঃ অব্দে) ১২৭৬ সালে মহারাণীর মধ্যম পুত্র ডিউক অফ এডিন‍্বরা এদেশে আগমন করিলে কলিকাতা রাজধানীতে কিরূপ আলোকোৎসব হইয়াছিল। পারিসে প্রবেশ করিয়াই দ্বারকানাথের বোধ হইয়াছিল, কোন বিশেষ ঘটনা উপলক্ষে পারিসে বুঝি ঐরূপ আলোকোৎসব হইতেছে। ইহাতে বোধ হইতেছে, পারিস ঐরূপ শোভায় নিত্য-শোভিত।

 দ্বারকানাথ ঠাকুর যখন পারিসে অবস্থিতি করিতে ছিলেন, সেই সময়ে ইংলণ্ডের ডাইরেক্টার সভা হইতে এক খনি অভিনন্দন পত্র এবং একটি স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন। তিনি স্বদেশের জন্য যত সাধু কার্য্যের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন, ঐ পদক, তাহার পুরস্কার স্বরূপ। তাঁহার প্রধান প্রধান কার্য্যের স্মরণ-সূচক শব্দ সকল, ঐ পদকে খোদিত হইয়াছিল। গৃহে প্রত্যাগত হইয়াও, মহারাণীর নিকট হইতে আর এক খানি পত্র পান। মহারাণী, দ্বারকানাথকে তাঁহার নিজ গৃহে রাখিবার জন্য আপনার সম্পূর্ণ প্রতিচিত্র প্রদান করিবেন, ঐ পত্রে সেই কথা লিখিত হইয়াছিল। জন-সমাজে এত প্রাধান্য লাভ করা, রাজ-দ্বারে এতাদৃশ সম্মান প্রাপ্ত হওয়া, কেহবা “কপালের কথা” বলিয়া মনকে প্রবোধ দেন; কেহবা “দ্বারকানাথ বড় ঘরের লোক, তাঁহার এরূপ হইবার অনেক যোগ্যড় ছিল” এইরূপ বলিয়া নিশ্চেষ্ট হয়েন।