পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
চরিতাষ্টক।

এই সংক্ষিপ্ত গ্রন্থে “কপালের কথায়” আমরা কোন কথা কহিতে সাহসী হইলাম না। কিন্তু পক্ষান্তরে বক্তব্য এই যে, বংশমর্য্যাদা, সম্পত্তি প্রভৃতি উচ্চ পদলাভে সহায়তা করে তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু এস্থলে ইহাও বুঝিতে হইবে, ঐ গুলি সজীব পদার্থ নহে। বংশমর্য্যাদাদি ত অনেকের আছে! তাঁহারা সকলেই দ্বারকানাথ ঠাকুরের সদৃশ হন না কেন?

 এক বৎসরের মধ্যেই দ্বারকানাথ দেশে প্রত্যাগত হয়েন। তিনি স্বদেশের মুখ উজ্জ্বল করিয়া, স্বজাতির পরিত্রাণের অনেক উপায় অনুসন্ধান করিয়া, বুদ্ধি ও উদ্যোগিতার জয়পতাকা উড‍্ডীন করিয়া দেশে আইলেন, এ দিকে বাবুদিগের বৈটকখানায় এবং ভট্টাচার্য্য মহাশয়দিগের টোলে, দ্বারকানাথ ঠাকুরের জাতি গিয়াছে বলিয়া গোল উঠিল। অধিক, আশ্চর্য্যের বিষয় এই, দ্বারকানাথ যে পিরালি বংশের আভরণ স্বরূপ, সেই পিরালি ঠাকুরগণের মধ্যেও কেহ কেহ তাঁহার বিপক্ষ হইয়াছিলেন। পরিশেষে, দেশীয় সমাজে স্থির হইল, যদি দ্বারকানাথ জাতিচ্যুতি নিবন্ধন প্রায়শ্চিত্ত করেন, তবে তিনি সমাজভুক্ত হইতে পারিবেন। দ্বারকানথ তাদৃশ প্রায়শ্চিত্তের প্রয়োজন না দেখিয়া, ঐ গোলযোগে ভ্রক্ষেপ করেন নাই।

 এদেশীয় স্ত্রীশিক্ষার আবশ্যকতা, দ্বারকানাথের মনে