পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
চরিতাষ্টক।

ধরিলেন। তাঁহার মাতামহীর অবস্থা এমন ছিলনা যে, তিনি প্রতি দিন তাঁহাকে তাড়া তাড়া কলাপাত কিনিয়া দেন। সুতরাং প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে লেখনীয় পাত পাইবার সুবিধা দেখিতে লাগিলেন। বালক কালেই তাহার মন, উপায় উদ্ভাবনে সমর্থ হইয়াছিল। দত্তবাড়ীর বালকগণের লিখিত ও ইতস্ততঃ পরিত্যক্ত পাত ধৌত করিয়া লওয়া স্থির করিলেন। যে অধ্যবসায় পরিণামে সেই পিতৃহীন বালককে কলিকাতার প্রধান বণিক্ ও অপরিমিত অর্থের অধিকারী করিয়াছিল; বাল্য কালের একটী সামান্য ঘটনায় সেই অধ্যবসায়ের মূল দৃষ্ট হয়। তিনি মধ্যাহ্ন রৌদ্রে অনাবৃতমস্তকে গঙ্গাস্রোতে আজানু মগ্ন হইয়া সেই সকল পত্র ধৌত করত ব্যবহারযােগ্য করিতেন। সামান্য কলাপাতের জন্য তিনি এত ক্লেশ করেন, মদনমােহনদত্ত জানিতে পারিলে অবশ্যই দুঃখিত ও বিরক্ত হইতেন। কিন্তু রামদুলালের প্রতিভা যেস্থলে তাঁহার অভাবপূরণে সমর্থ হইত, সে স্থলে তিনি অপরের নিকট প্রার্থনা জানাইতে সম্মত হইতেন না। অধিকন্তু ইহাও তাঁহার মনে ছিল যে, মদনমােহন তাঁহার জন্য যথেষ্ট করেন, তাঁহাকে আর অধিক ভারগ্রস্ত করা, তাঁহার। উচিত নহে। যাহা হউক, ক্রমে রামদুলাল উৎকৃষ্ট রূপে বাঙ্গালা লেখা পড়া শিখিলেনও তীক্ষ্ণবুদ্ধিশালী মুহরী হইলেন এবং জাহাজের কাপ‍্তেন ও কর্ম্মচারিগণের সহিত