পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
চরিতাষ্টক

ত্রুটি করেন না। কিন্তু দেখেন না যে, তাঁহাদের দেশের একখানা প্রকৃত ইতিহাস নাই। যে জাতির ইতিহাস নাই সে জাতির কিছুই নাই। সভ্য জাতিরা তাহাদিগকে মানুষ জ্ঞান করেন না। এইজন্যই বর্ত্তমান রাজপুরুষ গণের নিকট বাঙ্গালী জাতির তাদৃশ আদর নাই। যদি বঙ্গদেশের পূর্ব্বতন অবস্থার প্রকৃত ইতিহাস থাকিত, যদি আমাদের পূর্ব্বপুরুষ গণের জীবন-চরিত থাকিত, যদি পূর্ব্বতন সামাজিক আচার ব্যবহার বিষয়ক গ্রন্থাদি থাকিত তাহাহইলে আর আমাদিগকে পদ্মা ও ভাগীরথীর অন্তর্গত আধুনিক চরবাসী বা বনবাসী বলিয়া উপেক্ষিত হইতে হইত না। তাহা হইলে আমরা “বড় ঘরানা” বলিয়া আদর পাইতাম এবং সভ্য ও প্রবল জাতিগণের দয়ার পাত্র হইতে পারিতাম। উপরি উক্ত ব্যক্তির জীবন-চরিত সম্বন্ধে যেরূপ গল্প শুনা যায়, বাঙ্গালার ইতিহাস গ্রন্থে তাহার গন্ধও নাই। ইহাকি অল্প আক্ষেপের বিষয়! অথচ তাদৃশ ব্যক্তির তাদৃশ কার্য্যই ইতিহাসের প্রধান বিষয়। নবাব মুর্সিদকুলী জাফর খাঁর সময়ে, নাজির আহম্মদ, সইয়দ্ রেজাখাঁ, সইয়দ্ ইফ রাম খাঁ প্রভৃতি মুসলমান রাজপুরুষের বাঙ্গলার রাজস্ব সম্বন্ধে যে কার্য করিতেন, একজন বাঙ্গালীও আপন পুত্রের সহিত সেই সময়ে বহুবৎসর তাদৃশ কোন কার্য্য করিয়াছিলেন, এবং তদ্দ্বারা আপন অবস্থা সমুন্নত