পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯০
চরিতাষ্টক

বৎসর মাত্র রাজকার্য্য করিয়া পরলোক গত হইয়াছিলেন। অথচ অনুসন্ধান-কালে মুকুটরাম রায়ই, অধিকতর সমৃদ্ধির সহিত পিতৃপদে অভিষিক্ত ছিলেন। যখন লেখা পড়ার সাধারণ চর্চ্চা অধিক ছিল না, কোন বিষয়ের স্বরূপ নির্ণয়ে লোকের তত ইচ্ছা ছিল না, বঙ্গদেশের তাদৃশী অবস্থায় একজন, আর একজন বলিয়া খ্যাত হওয়া বড় অসম্ভব নহে।

 যে সকল গুণের প্রভাবে মানুষ সবিশেষ উন্নতি লাভ করেন; অধ্যবসায়, আত্মবলম্বন, সাহস দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ইত্যাদি সেই সকলের মধ্যে প্রধান। গোবিন্দের জীবনে প্রথমাবধি ঐ গুণ গুলি ছিল বলিয়াই, তিনি তাদৃশী উন্নতি লাভে সমর্থ হইয়াছিলেন। তিনি যখন সম্পূর্ণ বালক, পাখীর ছা পাইলে যেখানে সেখানে যাইতে পারিতেন, তখনই তাঁহাতে ঐ সকল গুণ স্ফ‌ুর্তি পাইয়াছিল। যে বয়সে অন্য বালক স্বগ্রাম মধ্যে একাকী বেড়াইতে সাহস করে না, সন্ধ্যার পর রুদ্ধ-দ্বার গৃহ মধ্যে থাকিয়াও “ভূত প্রেতনীর” ভয়ে চমকিয়া উঠে, গোবিন্দ সেই বয়সে অর্থোপার্জ্জন করিবার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়া গৃহ ত্যাগ করেন। কোথা যাইবেন, কি করিবেন, কে তাঁহার সহায় হইবে, তখন এসকলের স্থিরতা ছিল না। তিনি আপনি, আপনার অবলম্বন হইয়া গৃহ ত্যাগ করেন। গৃহ ত্যাগ করিয়াই, তালীয়