পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোবিন্দচন্দ্র চক্রবর্ত্তী।
৯৩

কিন্তু স্বয়ং কোন বিষয়ের প্রবর্ত্তক হইতে কাহারই সাহস হয় না। যিনি সভায় গিয়া তেজস্বিনী বক্তৃতা দ্বারা বাল্যবিবাহের প্রতিবাদ করিয়া আসেন, হয়ত তিনি আপনার দুই একটী বালিকা কন্যার বিবাহ দিয়া ফেলিয়াছেন, কিম্বা তাহাদিগের বিবাহ-সম্বন্ধ দেখিতেছেন। যিনি অপরের বিধবা ভগ্নী বা কন্যার পুনরুপর্যমে। সবিশেষ যত্নশীল, তিনি হয়ত, প্রাচীন গণের প্রশংসা প্রত্যাশায় বাড়ীর বিধবাদিগকে, একখানি পাইড়ওয়ালা কাপড় পরিতে দেখিলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আমরা যে২ বিষয়ে দুই একটা উদাহরণ প্রদর্শন করিলাম, দেশ-কাল-অবস্থানুসারে ইহার মধ্যে অনেক তর্ক চলিতে পারে। ফলতঃ অধুনাতন ব্যক্তিগণের নৈতিক সাহসের অভাব প্রতিপন্ন করাই আমাদের উদ্দেশ্য। বোধ হয়, গোবিন্দ চক্রবর্ত্তীর জীবন-চরিত পাঠ, আমাদের উক্ত বিধ চিত্ত-রোগ প্রতিকারের একটা ঔষধ হইতে পারে। তিনি স্বয়ং সাধু কার্য্যের প্রদর্শক হইয়াছিলেন। তাঁহার তিন পত্নীরই গর্ভজাত সন্তান-গণ জীবিত থাকিলে নিশ্চয়ই তাঁহার অভিপ্রায় সুসিদ্ধ হইত। মুকুটরাম রায়ই তাহার প্রমাণ। মুকুটের ন্যায় ক্ষমতাশালী তাঁহার রাঢ়ীয় ও বারেন্দ্র ভ্রাতারা জীবিত থাকিলে কি তাঁহাদের বিবাহ হইত না? অবশ্যই হইত! সেই সঙ্গে সঙ্গেই তিন শ্রেণী মিলিত হইয়া আসিত।