পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tሦ ধৰ্ম্ম-জীবন। পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সেগুলিকে পালন করে। নিয়ম নিয়ম করিতে করিতে অনেক সময়ে তাহার হৃদয়ের সুকোমল ভাবগুলি শুষ্ক হইয়া যায় ; জগতের কুনীতি তাহার হৃদয়কে বিষাক্ত করে ; এবং তাহার চিত্তের শাস্তিকে হরণ করে। মানব-জীবন কেবল কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্যের সমষ্টি নয়; ইহার মধ্যে অনেকটা প্ৰেম থাকা আবশ্যক ; তদ্ভিন্ন সুখী হওয়া ষায় না ; অথবা অপরকে সুখী করা যায় না । প্রেমের উৎস হইতে যে নীতি উদিত হয় না, কিন্তু বাহিরের নিয়ম হইতে আসে, তাহা তিক্ততাকে প্রসব করে ; এবং মানুষকে আর একদিকে সংকীর্ণ ও অনুদার করিয়া ফেলে । ধৰ্ম্মকে আর একটা ভাবে দেখা উচিত তাহ এ , ধৰ্ম্ম প্ৰাণে । ধৰ্ম্ম মতে, ধৰ্ম্ম অনুষ্ঠানে, ধৰ্ম্ম নীতিতে, ও ধৰ্ম্ম প্ৰাণে, ইহার মধ্যে ধৰ্ম্ম প্ৰাণে এই কথাটাই যুক্তিযুক্ত। ধৰ্ম্ম প্ৰাণে আগে আসিলে তবে মতে, অনুষ্ঠানে, ও নীতিতে যায়। প্ৰাণগত ধৰ্ম্ম হইল জীবন-তরুর রস, আর মত অনুষ্ঠান ও নীতি হইল শাখা প্ৰশাখা। মুলে রস থাকিলেই শাখা প্রশাখাতে যায়, মুলে রস না থাকিলেই সমুদয় শুকায়। কিন্তু ধৰ্ম্ম কখন প্ৰাণে আসে ? উত্তর, আত্মার লক্ষ্য যখন ঈশ্বরে স্থাপিত হয় । ধৰ্ম্ম কখন প্ৰাণে আসে ? উত্তর, যখন হৃদয়ে ঈশ্বর-শ্ৰীতি জাগিয়া উঠে এবং অনলের ন্যায় হৃদয়কে আলোড়িত করিয়া পরিবৰ্ত্তিত করিতে থাকে। ধৰ্ম্ম কখন প্ৰাণে আসে ? উত্তর, যখন ধৰ্ম্ম লক্ষ্যও বিষয় উপলক্ষ্য হয় । ধৰ্ম্ম কখন প্ৰাণে আমাসে ?