পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম-জীবন। উত্তর, যখন সকল চিন্তা ভাব ও আকাঙ্ক্ষা ঘনীভূত আকারে ধৰ্ম্মের দিকে ধাবিত হয়। ধৰ্ম্ম কখন প্ৰাণে আসে ? উত্তর, যখন পাপে অরুচি ও পুণ্যে রুচি জাগ্রত হইয়া হৃদয়ে তুমুল সংগ্ৰাম উপস্থিত করে। হৃদয়ের এই প্রকার পরিবর্তন ভিন্ন অল্পে সন্তুষ্ট হওয়া কৰ্ত্তব্য নহে। দশটা ধৰ্ম্ম-মাত মানুষকে শুনাইতে কতক্ষণ লাগে ? পাঁচ জন উপযুক্ত সদ্ব্যক্ত নিযুক্ত করিলে, D TLLBuB sOu sBDD DDDBBD BBBS DDD D D বৎসরের মধ্যে কলিকাতার সমগ্ৰ লোককে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের মতগুলি শুনাইয়া দিতে পারি । তাহাকে কি বলে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার ? তবেই দেখিতেছি ; কেবল মত শুনাইলেই প্রচার হয় না, আরও কিছু চাই ; কি চাই ? হৃদয়-পরিবর্তন চাই ; হৃদয়ে ধৰ্ম্মাগ্নি লাগি চাই ; যে জিনিসে মত, অনুষ্ঠান, নাতি সকলকে সামলায় সেই জিনিষ চাই । তাহাই প্ৰকৃত ধৰ্ম্ম-জীবন । যাহারা প্রচার করিতেছেন, যাহারা শিক্ষা দিতেছেন, যাহারা লিখিতেছেন, তাহদের সকলকেই এই দিকে দৃষ্টি রাখিতে, হুইবে ও ইহার দ্বারা স্বীয় স্বীয় কাৰ্য্যের বিচার করিতে হইবে। আমি যে এখানে সপ্তাহে সপ্তাহে উপদেশ দিতেছি। তাহার ফল কি ? ফল যদি এই মাত্ৰ দেখি যে, লোক ভাষার লালিত্যে, বা অলঙ্কার বিন্যাসের পারিপাট্যে, বা কবিত্ব ও ভাবের প্রাচুর্ঘ্যে শ্ৰীত হইতেছেন, "বাঃ বাঃ’ বলিয়া প্ৰশংসা করিতেছেন, তাহার অতিরিক্ত, তাহার অধিক, আর কিছুই অনুভব করিতেছেন না, হৃদয়ে কোনও আকাঙক্ষা জাগিতেছে