পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরান্বেষণ । T f অনেক সময়ে ধৰ্ম্মবুদ্ধির পরিচ্ছদ ধারণ করিয়া আসে। তখন আমাদের আর উপায় থাকে না । আপনাদের এই দুৰ্দশার কথা ভাবিলে একটি প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনীর কথা স্মরণ হয়। সে কাহিনীটী এই ;-ক্রুরমতি মহীরাবণ রাত্ৰিযোগে রাম লক্ষমণকে হরণ করিবার চেস্টাতে আছে । বিভীষণ হনুমানকে দ্বারে রাখিয়া বলিয়া গেলেন,-“স্বয়ং কৌশলা আসিলেও দ্বার ছাড়িবে। না ।” হনু তথা স্তু বলিয়। দ্বারে দণ্ডায়মান রহিলেন। মহীরাবাণ নানারাপ ধারণা করিয়া অসিতে লাগিল । কখনও ভারত হইয়া, কখনও জনক হইয়া, কখনও কৌশলা সাজিয়া আসিল, হনু কিছুতেই দ্বার ছাড়িলেন না। অবশেষে মহীরাবণ বিভীষণের আকার ধারণ করিয়া আসিল । তখন হনুর সতর্কতাতে আর কুলাইল না। যে বিভীষণ তাঁহাকে দ্বাররক্ষকরূপে নিযুক্ত করিয়াছিলেন, শত্রু যখন তাহার আকারে আসিল, তখন হনু পরাস্ত হইয়া গেলেন। সেইরূপ যে ধৰ্ম্মবুদ্ধি আমাদিগকে দ্বার রক্ষাতে নিযুক্ত করিয়াছে, ক্ষুদ্র অভিসন্ধি যখন সেই ধৰ্ম্মবুদ্ধির অ্যাকার ধারণা করিয়া আসে তখন আমরা আর আত্মরক্ষা করিতে পারি না । এই জন্যই বলিয়াছি সকল প্ৰকার ক্ষুদ্র অভিসন্ধি হইতে আপনাকে সৰ্ব্বতোভাবে রক্ষা করার ন্যায় কঠিন সাধন আর নাই। অথচ ইহাই ধৰ্ম্মের সর্বশ্রেষ্ঠ সাধন । ইহা না হইলে প্ৰকৃত ঈশ্বর্যান্বেষণই হয় না । ኳ፡ তৃতীয়তঃ যে সাধু প্ৰকৃত ঈশ্বরান্বেষী তিনি ঈশ্বরেচ্ছার অনুগত হইবার জন্য প্ৰস্তুত। তুমি যদি ঈশ্বরকে এ কথা