পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মের শক্তির প্রমাণ কোথায় ? YRK» সমর্পণ করিতে লাগিলেন। তাঁহাদেরই প্রযত্নে নিষ্ঠুর গ্ল্যাডিয়েটরের খেলা রহিত হইয়া গেল । এ বিষয়ে মহা ? যীশুর একটা উপদেশ তাহদের অন্তরে আতিশয় কার্স্য করে। সে উপদেশটা এই, একটা পাপীর আত্মাকে ঈশ্বর মূল্যবান জ্ঞান করেন । তিনি দুইটা দৃস্টাস্তের দ্বারা এই সত্যটাকে শিষ্যগণের মনে মুদ্রিত করিবার প্রয়াস পাইয়াছিলেন। প্ৰথম দৃস্টান্ত মেষপালকের । যদি একজন মেষপালক সমস্ত দিন মেষ চরাইয়া দিবাশেষে গৃহে ফিরিবার সময়ে গণনা করিয়া দেখিতে পায় যে, তাহার একশতটা মেষের মধে। একটা আসে নাই । তাহ চাইলে কি সেই পথভ্ৰান্ত মেষটার প্রতি উপেক্ষ। প্রদর্শন করিয়া বলে, যাক একটা মেষ গেলাইবা, নিরেন কবইটা ত আছে, আমি তদুরাই আপনার প্ৰয়োজন নিৰ্ব্বাহ করিব ; না সে নিরানব্বইটা মেষকে দাড় করাইয়া রাশিয়া সেই পথ ভ্ৰান্ত মেষটাকে অন্বেষণ করিতে যায়, এবং যতক্ষণ তাহাকে না পায় ততক্ষণ তাহার আরাম থাকে না ; পাহাড়, পৰ্ব্বত, বনে জঙ্গলে সৰ্ব্বত্র খুজিয়া বেড়ায়, আয় আয় করিয়া ডাকে ; নিজে গলার সাড়া দেয়, যদি পালকের গলা শুনিয়া সে ফিরিয়া আসে এবং অবশেষে যখন তাহাকে পায় তখন তাহাকে স্কন্ধে করিয়া প্ৰসন্ন চিত্তে ফিরিয়া আসে । এই দুনীমান্ত দিয়া যীশু বলিলেন-ভক্তবৎসল। ভগবান এইরূপ একটা পাপী আত্মাকে ফিরাইয়া আনিবার জন্য আগ্ৰহ করিয়া থাকেন :