পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8 o ধৰ্ম্মজীবন। থাকে। হে ইন্দ্ৰ ! বারি বর্ষণ করা ; হে অগ্নি ! আহুতি বহন কর ; হে ইন্দ্ৰ ! উৎকৃষ্ট ধন দেও, দুগ্ধবতী গাভী দেও, ইত্যাদি। ধৰ্ম্মের এই স্থূলভাবের মধ্যে যে দিন এই ভােব জন্মগ্ৰহণ করে যে, দেবশক্তি যে কেবল বাহিরে ও প্ৰকৃতিরাজ্যে কার্গা করিতেছে তাহ! নহে, সে শক্তি আন্তরে অ্যা সুরাজ্যে ও কাৰ্য্য করিতেছে ; সেই শক্তিই আগ্রাতে নিহিত থাকিয়া বুদ্ধিরুক্তিকে প্রেরণা করিতেছে, সে দিন কি মানবের পািৰ্ম-চিন্তাতে একটা বিশেষ দিন নয় ? সে দিন অধ্যাত্মিক ধৰ্ম্মের জন্মগ্রহণ হয় | ঋষিগণ এই গায়িত্রী মস্ত্ৰে সেই আধা 'গ্নিক ধৰ্ম্মভাবের আভু্যদয় দেখিয়াই ইহার এত আদর করিয়াছেন । কিন্তু কথা। এই, ঈশ্বর কি বাস্তবিক আমাদের বৃদ্ধিবুৰি লুকে প্রেরণ করেন ? আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি যে নিরন্তর নানাদিকে নানা বিষয়ে ও নানা কার্স্যে ধাবিত হইতেছে, সমুদায় কি তাহারই প্রেরণা ? অথবা তাহার প্রেরণার কোন ও বিশেষ অর্থ আছে ? এক অর্থে তাহার প্রেরণা। সৰ্ব্বত্র । কি জড়ে কি চেতনে সৰ্ব্বত্রই তিনি শক্তিরূপে উথলিত হইতেছেন । নবেদিত অরুণের কিরণমালার প্রত্যেক স্পন্দনে, প্ৰবাহিত বায়ু সাগরের প্রত্যেক হিল্লোলে, উদ্ভিদ ও জীবের জীবনের প্ৰত্যেক স্ফুরণে তিনিই উত্তলিত হইতেছেন; আবার মানবা গ্র'র প্ৰত্যেক চিন্তাতে, প্ৰত্যেক ভাবে ও প্ৰত্যেক আকাঙক্ষাতে তিনিই উথলিত হইতেছেন । এ অর্থে, এমন কিছুই নাই, যাহা তাহার প্রেরণার অধীন নহে । অপর দিকে বিশেষ অবস্থাতে