পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ft CRAN 25 forței ? 80 বিশেষ ভাবে যে তিনি মানবাত্মাকে প্রেরণা করেন, মানবের ভিতর দিয়া তাহার বাণী প্ৰকাশ পায়, ইহাও সত্য । এরূপ বিশ্বাস আমরা জগতের আদিম কাল হইতেই দেখিতে পাই । জগতের সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায় এরূপ ঈশ্বরবাণীতে বিশ্বাস করিতেছে । হিন্দু, খ্রীস্টান. মুসলমান এই তিন প্রধান সম্প্রদায়কে ছাড়িয়া দিলে ও এরূপ অগণ্য মহাপুরুষীয় সম্প্রদায় আ!ছে, যাহারা উক্ত প্ৰকার বিশ্বাসের উপরেই আপনাদের পৰ্ম্মজীবনের ভিত্তি স্থাপন করিয়াছে, তাহারা বিশেষ বিশেষ মহাপুরুষের উক্তিকে ভগবদ্বাক্য বলিয়া জানিয়া তদনুসারে আপনাদের ধৰ্ম্মজীবনকে নিয়মিত করিতেছে । এরূপ বিশ্বাস মানব-সমাজে কোন প্ৰবল হইল ? মানুষ সচরাচর এবিষয়ে একটা মহা ভ্ৰমে পতিত হয় মানুষ মনে করে অগ্ৰে অপৌরুষেয় তাতে বিশ্বাস, তৎপরে ঐ সকল উক্তির প্ৰতি শ্রদ্ধা ভক্তি । কিন্তু তাহা নহে ; প্ৰকৃত প্ৰণালী এই, আগ্ৰে ঐ সকল উক্তির প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি, তৎপরে তাহদের অপৌরুষেয়ত!-জ্ঞান। প্রাচীনের মানবের জ্ঞাতব্য সমুদয় বিষয়কে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন, লৌকিক ও পারমার্থিক । যাহা দেশকালের সীমাধীন, তাহা লৌকিক ; আর যাহা এই পাঞ্চভৌতিক জগতের অতীত ও দেশকালের সীমার বাহিরে তাহা পারমার্থিক। আমাদের এই মানবপ্রকৃতির ও দুইটী দিক আছে, লৌকিক ও পারমার্থিক । লৌকিক দিকে আমরা sa