পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°ፍ 8ቕ... ধৰ্ম্মজীবন । দেশকালের অধীন, জগতের সহিত সম্বন্ধ ও জাগতিক বিষয়ের অন্বেষণে তৎপর ; কিন্তু আমাদের একটা পারমার্থিক দিক ও আছে ; সে দিকে আমরা ইন্দ্ৰিয়াতীত ধৰ্ম্ম-নিয়মের বশবৰ্ত্তী । আমাদের প্রকৃতিতে এই পরমার্থিকতা আছে বলিয়াই আমাদের চিত্তে পরমার্থতিত্ত্বের স্ফুরণ হয় এবং পরমার্থ তত্ত্বের সাক্ষ্য পাওয়া যায়। প্ৰাতঃ সূর্সের অভু্যদয় মানবে ও দেখে গোমেষ ও দেখে, গোমোয্য কখনই সেই চমৎকারসম্বলিত অপূৰ্ব্ব রস আস্বাদন করে না, ঘাহা মানব করিয়া থাকে ; কারণ এই যে, মানবের অন্তরেই সেই বাহিরের সৌন্দর্ঘ্যের অনুরূপ কিছু আছে । আমি পারমার্থিক তত্ত্ব প্রকাশ করিলে তামার মন যে বলে ঠিক ঠিক, এই ঠিক ঠিকের দ্বারাই তোমাতে আমাতে যোগ !! ঐ ঠিক ঠিকের দ্বারাই আমার আত্মা তোমার আত্মার সহিত কথা কয় ! যে বলিল ঠিক ঠিক, তাহার ভিতরে নিশ্চয় কিছু রহিয়াছে, মহা আমার উক্তিকে লুফিয়া লইল । ভাবিয়া দেখ, আমাতে ঈশ্বর আছেন, তোমাতে ও ঈশ্বর আছেন, আমাতে ঈশ্বর কথা কহিলেন, তোমাতে ঈশ্বর লুফিয়া লইলেন। অর্থাৎ তোমার পারমার্থিকতা আমার পরমার্থিকতাকে চিনিয়া ফেলিল । জগতে মহাজনের উক্তি সকলকে যে মানুষ ঈশ্বরবাণী বলিয়াছে, তাহা চিনিয়া ফেলা মাত্র । জহুরীর। যেমন প্ৰস্তর রাশির মধ্যে দুই চারি খণ্ড হীরক থাকিলে চিনিয়া লয়, তেমনি মানবের আধ্যাত্মিক দৃষ্টি সাধুদের আধ্যাত্মিকতাকে