পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরান্বেষণ । 幡 s ধৰ্ম্ম-সাধন ও ধৰ্ম্ম-প্রচারের জন্য যদি তোমাদের অর্থের প্রয়োজন হয়, অর্থ পাইবে, মানুষের প্রয়োজন হয় মানুষ পাইবে, সে জন্য ভাবিও না, কেবল এই দেখ সৰ্ব্বাস্তঃকরণের সহিত আত্মবিস্মৃত হইয়া ঈশ্বরকে অন্বেষণ করিতেছি কি না ? সৰ্ব্বাস্তুঃকরণের সহিত ঈশ্বরকে অন্বেষণ করিলে ধৰ্ম্মজীবনের অভাব হইবে না, ইহা সকলে স্বীকার করিতে প্ৰস্তুত, কিন্তু ধৰ্ম্মজীবনের উন্নতির উপাদান স্বরূপ ধন জনের ও অভাব হইবে না, তাহ। হয় তা অনেকে স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত হইবেন । অথচ জগতের ইতিবৃত্তের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া দেখ ইহার উজ্জ্বল প্রমাণ দেদীপ্যমান রহিয়াছে । যেখানেই মানব নিঃস্বাৰ্থ ও অকপট ভাবে ঈশ্বরান্বেষণ করিতেছে, অর্থাৎ আত্ম-বিস্মৃত হইয়া তাহার কাৰ্য্যে আপনাদিগকে সমৰ্পণ করিতেছে, সেই খানেই ধন জনের অপ্রতুল থাকিতেছে না। অপর দিকে যৌবন-প্ৰাপ্ত সিংহের নিজের অভাব নিবারণের কারণ ও আয়োজন সত্বে ও সে যেমন কখন কখনও ক্ষুধায় মরে, তেমনি ধনে জনে বলবান ব্যক্তিরাও হয় ত কৃতকার্স্যতা লাভে অসমর্থ হইতেছেন, কিন্তু প্রকৃত বিশ্বাসী ও বিনয়ী সাধু ঈশ্বরের প্রচুর কৃপা লাভ করিয়া তাহার অনুষ্ঠিত কার্স্যে কৃতকাৰ্য্য হইতেছেন।