পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s ters বলিতে না পার—“তোমাকে লাভ করিবার জন্য ऊद्र श করা প্রয়োজন তাহা করিব, যাহা ছাড়া প্রয়োজন তাহা ছাড়িব,” তবে তুমি কিরূপ ঈশ্বরান্বেষণ করিতেছ ? ইহাকে যদি তুমি সর্বাপেক্ষা মূল্যবান ও সর্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয় সম্পদ মনে না করি, তবে কি সৰ্ব্ববান্তঃকরণের সহিত ইহার অন্বেষণ করিতে পার ? আমার পাইলেও হয়, না পাইলেও ক্ষতি নাই, এরূপ মনের ভাব লইয়া কি কেহ নিমগ্ন চিত্তে কোনও বিষয়ের অন্বেষণ করিতে পারে ? অতএব ঈশ্বরকে লাভ করিতে গিয়া যো যায় যাক যে থাকে থাক-এরূপ চিত্ত ভিন্ন তাহার অন্বেষণ হয় না। এরূপ ভাবের মূলে আনুগত্য—অর্থাৎ আমি সর্বতেভাবে ঈশ্বরোিচ্ছার অনুগত হইতে প্ৰস্তুত এই ভাব । এটাও ঈশ্বরান্বেষণের পক্ষে অতীব প্রয়োজনীয় । এই ভাব হইতেই ধৰ্ম্মজীবের বীরত্বের উদয় হয় । এরূপ ব্যক্তি অকুতোভয়ে সত্যের অনুসরণ করেন, এবং ক্ষতিলাভের চিন্তা বিবৰ্জিত হইয়া ধৰ্ম্মকে আশ্রয় করেন । পূর্বোক্ত বচনের সর্বশেষ উক্তি-ঈশ্বরান্বেষীর কোন ও উৎকৃষ্ট বিষয়ের অভাব হইবে না । ইহা আমরা দুই ভাবে গ্ৰহণ করিতে পারি। প্ৰথমতঃ ধৰ্ম্মজীবনের ন্যায় উৎকৃষ্ট বিষয় আর নাই, অতএব তাহার ধৰ্ম্মজীবনের অভাব হইবে না ; দ্বিতীয়তঃ ধৰ্ম্মজীবনের উন্নতির উপাদান স্বরূপ যে কোনও বিষয়ের প্রয়োজন তাহার ও অভাব হইবে না । তোমরা যদি সৰ্ব্বাস্তঃকরণের সহিত ঈশ্বরকে অন্বেষণ করা, তাহা হইলে