পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

う8も ধম্মজীবন। ছেন ; প্ৰথম সত্য-প্ৰিয়তা অর্থাৎ যে ব্যক্তি নিজ অন্তরে পরমার্থের স্মৃত্তি চায়, তদীয় প্রকৃতিটা এরূপ হওয়া আবশ্যক যে, সে কখনই সত্যকে অতিক্ৰম করিতে পারে না, সর্বদা সত্যে প্ৰতিষ্ঠিত, সত্যেরই অনুধ্যান করে, সত্যেরই অনুসরণ করে । এটা বড় সহজ কথা নয় । দ্বিতীয়-তাহার তপস্যা বা চিত্তের একাগ্ৰতা থাক। আবশ্যক । যে সাধনা দ্বারা দেহ ও মন উভয়ের বিশুদ্ধি লাভ হয়, সেই তপস্যা-যে তপস্যা দ্বারা চিত্ত একাগ্রতা-সম্পন্ন হয়, সেই তপস্যা। এটা ও বড় সহজ কথা নয় । তৃতীয়—সম্যক জ্ঞান অর্থাৎ জগৎ তত্ত্ব ও আত্মতত্ত্ব সম্বঙ্গে গভীর জ্ঞান,-যে জ্ঞান বিনয়কে প্রসব করে, আত্মদৃষ্টিকে জাগ্ৰত করে, সেই জ্ঞান । ইহাও সহজ নয় । চতুর্থ-ব্রহ্মচৰ্য্য অর্থাৎ ইন্দ্ৰিয়-প্রবৃত্তি সকলকে নিরুদ্ধ রাখা । ইহা ও সহজ কথা নয় । , পূর্বোক্ত চারিটী নিয়মের বিষয় চিন্তা করিলেই অনুভব করা যাইবে যে, তোমার আমার চিত্তে যে পরমার্থের স্মৃৰ্ত্তি হয় না, তাহার কারণ আমরা তাহার উপযুক্ত নাহি। মিথ্যাচারী, স্বৈরাচারী, অশন-বসন-লোলুপ, উদ্ধত, অবিনীত, অজ্ঞ, ও ইন্দ্ৰিয়-পরতন্ত্র লোকে যদি পরমার্থের স্মৃৰ্ত্তি লাভ করে—তবে আর অসম্ভব কিছুই থাকে না । ভাবিয়া দেখ, আমরা অনেকে ঐ প্রকৃতি-সম্পন্ন কি না ?--বিষয়-সুখাভিলাষী, উদ্ধত, অবিনীত অজ্ঞ কি না ? এরূপ মানুষ দিয়া ষে সমাজ গঠিত