পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

frst critai: 2c5ttts | S 8 যাহা তাহার সৃষ্ট। পঞ্চেন্দ্ৰিয়ের দ্বার দিয়া তাহাকে যে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে, তাহাতেই আত্ম-জ্ঞানকে প্রয়োগ করিয়া। তিনি রূপান্তরিত করিয়া নিজের জ্ঞান-সম্পত্তি রচনা করিয়াছেন । তুমি যে প্ৰাতঃকালে চক্ষু খুলিলেই সুনীল আকাশ দেখিতে পাও, প্ৰকৃতির শোভা দেখিতে পাও, তাহাতে তোমার কি হাত আছে ?-যিনি এই জগৎ রচনা করিয়াছেন, তিনিই তোমাকে সে জ্ঞান দিতেছেন । সকল জ্ঞানই যখন তিনি দেন, তখন পারমার্থিক জ্ঞান ত বিশেষ ভাবে তাহারই প্ৰদত্ত সম্পত্তি, কারণ তাহা তাহার নিজ স্বরূপের প্রকাশ ; তাহা তাহার মুখ-জ্যোতি । যদি জিজ্ঞাসা কর, এই পারমার্থিক জ্ঞান সকলের চিত্তে উদ্ভাসিত হয় না কেন ? তবে জিজ্ঞাসা করি, সকলের দৃষ্টি প্রস্তর খণ্ড সকলের মধ্যে হীরক চেনে না কেন ? হীরক চিনিতে যেমন বিশেষরূপে তীক্ষ্ণ ও একাগ্র দৃষ্টি চাই, তেমনি পারমার্থিক তত্ত্ব দেখিবার জন্য দৃষ্টির তীক্ষতা ও একাগ্রতা চাই। এই দৃষ্টির তীক্ষতা ও একাগ্রতাটা বড় সাধনের ফল । এই জন্যই ঋষির বলিয়াছেন, সত্যেন লভ্য স্তপস্যা হােষ আত্মা, সম্যক জ্ঞানেন ব্ৰহ্মচর্য্যোণ নিত্যং । , অর্থ—এই পরমাত্মাকে সত্যের দ্বারা, চিত্তের একাগ্ৰতা দ্বারা, সম্যক জ্ঞানের দ্বারা ও ব্ৰহ্মচর্যের দ্বারা লাভ করা যায় । তাহারা পরমার্থ স্ফুরণের চারিটী নিয়ম নির্দেশ করিয়া so