পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)8bア श्ीऔदका । চেটিয়া করিয়া রাখিতে চায়, ঈশ্বর, পথের লোককে ডাকিয়া বলেন, “নে নে নিয়ে যা মুক্তি তোদের সকলেরই জন্য।” তুমি মনে মনে মস্ত ধাৰ্ম্মিক হইয়া বসিলে কি হইবে, এ জগতে যে চায় সেই পায় । তোমার ধাৰ্ম্মিকতার অভিমান বলিতেছে যে, তুমি চাও না । সাধুরা যখন ধৰ্ম্মতত্ত্বের বাখ্যা করিয়াছেন, তখন একটি বেড়াবিদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া করেন নাই, তাহারা মনে করিয়াছেন, সমুদায় জগত তাহদের শ্রোত ; যে চায়। সেই পাইবে । আমাদের দেশের ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণ এই ভাবকে অতিরিক্ত মাত্রায় লইয়া গিয়াছিলেন । যে ধৰ্ম্মের জন্য উন্মুখ নয়, তাহাকে ধৰ্ম্মতত্ত্ব শুনাইতে চাহিতেন না । আমি বসিয়া রছিলাম, তোমার ধৰ্ম্মতত্ত্বের প্রয়োজন হয়, আমার নিকট এস, প্ৰয়োজন না থাকে যে বিষয়-সুখ চাহিতেছে, তাহা ভোগ কর । দুই প্ৰকার বণিক দেখিতে পাওয়া যায়। এক দোকানদার আর এক ফিরিওয়ালা । বস্ত্রের দোকানদার বস্ত্ৰ লইয়া নিজ দোকানে বসিয়া আছে ; তোমার বস্ত্রের প্রয়োজন হইলে সেখানে যাইবে ; বস্ত্র না চাহিয়া যদি তণ্ডুল চাও, তবে সেখানে যাইবে না ; তেমনি এ দেশের সাধুৱা ধৰ্ম্মতত্ত্ব লইয়া নির্জনে বসিয়া থাকিতেন, তোমাদের ধৰ্ম্মতত্ত্বের প্রয়োজন থাকে। সেখানে যাইবে আর বিযয়-সুখের প্রয়োজন থাকে ত সেখানে যাইবে না । ফিরিওয়ালার ন্যায় চাও না চাও কাণের কাছে ‘মুক্তি চাই’-‘মুক্তি চাই-বলিয়া বেড়াইতেন না। ইহাকে অতিরিক্ত মাত্রা এই জন্য বলিয়াছি যে মানবাত্মাকে উদ্ধ,দ্ধ ও উন্মুখ