পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fKCSI Crie: 25ttits S8 করিবার ও প্রয়োজন আছে। পাপীদিগকে উদ্ধৃদ্ধ করিবার জন্য সাধুরা তাহাদিগকে অন্বেষণ করিয়া থাকেন । ফল কথা এই, এ জগতে যে চায় সেই পায় । ধৰ্ম্মসাধন দুই প্রকারে হয়, এক মানুষ ধৰ্ম্মকে গড়ে দ্বিতীয়তঃ ধৰ্ম্ম মানুষকে গড়ে । ধৰ্ম্ম যখন মানুষকে গড়ে, তখন তাহাকে একেবারে গ্ৰাস করে, তাহাকে গালিয়া ঢালিয়া নূতন করিয়া লয়। ভগবৎ-প্রেরণার অধীন হইলে মানুষের এই দশা হয় । এই আমি ঐ ধৰ্ম্ম, আমি ধৰ্ম্ম করিতেছি, এরূপ নিজ হইতে ধৰ্ম্মের পার্থক্য জ্ঞানটা উজ্জ্বল থাক। ভাল নয় ; উহা সাধনালদ্ধ রাজসিক ধৰ্ম্মের লক্ষণ, উহাতে অহমিকা জন্মিতে পারে। আর যেখানে মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ধাৰ্ম্মিক হয়, স্বভাব ধৰ্ম্ম হইয়াছে বলিয়া ধৰ্ম্মাচরণ করে, ঈশ্বর-গ্ৰস্ত হইয়া ঈশ্বরের পথে চলে, সেটা শ্রেষ্ঠ অবস্থা । উহ। প্রেমের ধৰ্ম্মের লক্ষণ । ধৰ্ম্মার্থে আমি ইহা ছাড়িয়াছি, উহা করিয়াছি, আপনাকে সংযত রাখিয়াছি, এরূপ টনটনে জ্ঞান থাকিলে সাধনাভিমানের উৎপত্তি হয় । রূপসীর রূপের অভিমান অপেক্ষ। সাধকের সাধনাভিমান দেখিতে অধিক কদৰ্য্য ও মুক্তিপথের কণ্টক। প্রেমের স্বভাব এই, ইহা নিজের যোগ্যতা খুজিয়া পায় না । ভগবৎপ্রেরণা প্রেমিক হৃদয়েই অবতীর্ণ হয় । তাহা প্রেমিকের হৃদয় মনকে গ্ৰাস করে, চিন্তাকে আপ্নত করে, ধৰ্ম্মভাবকে স্বাভাবিক ভাবে উৎসারিত করে । বাস্তবিক ইহা সেই প্ৰেমনদীকে প্রবাহিত রাখে, যাহার তীরে জীবনতারু সহজে