পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R क्षीखको दन्म । পথাবলম্বী মাত্ৰেই দেব-প্ৰসাদের উপরে কিছু অধিক ঝোক দিয়াছেন । কেহ কেহ ইহাকে অতিরিক্ত মাত্রায় লইয়া গিয়াছেন। মানুষকে আতি হীন ও অসমর্থ জানিয়া ইহারা ভগবৎ-ক্লপাকেই সার বলিয়া অবলম্বন করিয়াছেন । ইহাদের মধ্যে য়িহুদী ধৰ্ম্ম ও তৎশাখা স্বরূপ খ্ৰীষ্টীয় ও মহম্মদীয় ধৰ্ম্ম প্ৰধান উল্লেখ-যোগ্য । ইহারা দেবপ্ৰসাদকে যে ভাবে ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা আমাদের রুচিকর নহে । ইহেেদর মতে দেব-প্ৰসাদের অর্থ মানুষকে পাপের সমুচিত শাস্তি হইতে নিস্কৃতি দেওয়া । পৃথিবীর রাজারা অথবা ক্ষমতাশালী পুরুষেরা যেমন মানুষের প্রতি কুপিত হন, এবং অনেক অনুনয় বিনয় করিলে, বা তুষ্টি সাধনাৰ্থ কিছু করিলে, প্ৰসন্ন হইয়া সমুচিত শাস্তি হইতে তাহাদিগকে নিরূতি দিয়া থাকেন, জগৎপতিও সেইরূপ বাতিরোক্তি-জনিত ও বাধাতা-জনিত করুণার বশবৰ্ত্তী হইয়া পাপীকে নরকবাস হইতে নিস্কৃতি দিয়া থাকেন। এইরূপে তাহারা ঈশ্বরে ক্ষুদ্র মানবীয় রাজার ভাব আরোপ করিয়া, তাহাকে অব্যবস্থিতি-চিত্ত ও যথেচ্ছাচারী করিয়াছেন । বোধ হয় জগতের আদিম সমাজ সকলের মানবদিগের পক্ষে এরূপ কল্পনা স্বাভাবিক ছিল । মহত্ত্ব ও ঐশ্বর্স্যের ধারণা করিতে গেলেই তাঁহাদের দৃষ্টি দেশের রাজাদিগের উপর পড়িত এবং তঁাহার রাজাদিগকে যেরূপ অব্যবস্থিত-চিত্ত ও স্বেচ্ছাপরতন্ত্র দেখিতেন, ঈশ্বরকেও সেইরূপ কল্পনা করিতেন। আমাদের দেশেও কবিগণ স্বীয় স্বীয় উপাস্য দেবদেবী কল্পনা