পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ar तान् । তপস্যার উদ্দেশ্য ঈশ্বরোিচ্ছাকে নিজহৃদয়ে প্রবল হইতে দেওয়া ; অতএব উভয়েরই কার্স্য এবং প্রয়োজনীয়তা আছে। এক অর্থে ইহা অতীব সত্য যে মানুষ কিছুই নহে। —ভগবৎ, কৃপাই সার। কারণ একবার ভাবিয়া দেখ, মানুষ কি মূল্য দিয়া ভগবৎক্লপ ক্রয় করিতে পারে ? যদি সে দ্রব্য মূল্য দিয়া কিনিবার হইত, মানুষ কি তাহ পারিত ? মানুষের এমন কি আছে ? অজ্ঞ, দুৰ্ব্বল, অন্ধ প্ৰায় মানুষ তার এমন কি আছে, অনন্ত প্ৰেমকে আবর্জিত করিতে পারে, এ কথা কি সত্য নহে যে, জননী যেমন শিশুর গুণে শিশুকে ভাল বাসেন না, কিন্তু নিজ প্ৰকৃতির অনুরোধে, তেমনি আমরা যে তাহার রূপ পাই, তাহা আমাদের গুণে নহে, কিন্তু তাহার প্ৰেমময় সরূপের গুণে । এই কারণে ভিক্তের। তাহাকে অকারণ-কারুণিক বলিয়াছেন । দ্বিতীয়তঃ তাহার ইচ্ছার সহায়তা ভিন্ন আমরা কিছুষ্ট নাহি। যতক্ষণ তাহার ইচ্ছ। আমাদের ইচ্ছার অনুকুল, ততক্ষণ আমরা কৃতা, আর যখন আমাদের ইচ্ছা তঁহাকে ছাড়িয়া দাড়াইতে চায় তখনি আমরা চূৰ্ণ বিচূর্ণ হই। অতএব, এ কথা কি সত্য নহে যে ভগবৎক্লপাই সার এবং আমরা কিছুই নাহি । তিনি আমাদের হৃদয়ে থাকিয়া সৰ্ব্বদাই ধৰ্ম্মের দিকে প্রেরণ করিতেছেন, সেই প্রেরণার বশবৰ্ত্তী হওয়াই মনুষ্যত্ব লাভের একমাত্র উপায় । কিরূপে এই প্রেরণার বশবৰ্ত্তী হওয়া যায় ? এইখানেই আমাদের সাধনের প্রয়োজন। আমাদের স্বরূপকে