পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भूभृन्मू Y KevJO তাহার উদর বৃহদায়তন হয় ;-তৎপরে সকল দিন তাহার অধিক আহার না যুটিতে পারে, সকল দিন একরূপ উৎকৃষ্ট দ্রব্য না পাইতেও পারে, কিন্তু উদরের স্ফীতিটা থাকিয়া যায় ; সেইরূপ জগতে তুমি যাহ। দেখ, যাহা করি, যাহা উপাৰ্জন কর, যাহা হইবার চেন্টা কর, সেই প্ৰয়াসে, সেই সংগ্রামে তোমার চরিত্রটা ব্লাহদায়তন হয়, তাহাতে বিশালতা, গভীরতা, সারবত্ত৷ আসে ; সেই টুকুই থাকিয়া যায়, সেই টুকু তোমার, সেই টুকু মরণের পরে ও থাকে। এই জন্যই ঋষিরা বলিয়াছেন “ধৰ্ম্ম স্ত মনুগচ্ছতি” ধৰ্ম্ম পরকালে মানুয্যের অনুগামী হয় ! ধৰ্ম্ম চরিত্রের ও অন্তরালে থাকেন। পুর্বেই বলিয়াছি ধৰ্ম্ম আর কিছুই নহে, ঈশ্বর যে মানব-হৃদয়ে বাস করিতেছেন। তাহার প্রকাশই ধৰ্ম্ম । হৃদয়বাসী ঈশ্বর, সত্য ন্যায়, প্রেম ও পবিত্রতাররূপে যখন চিন্তাতে, ভাবে, আকাঙক্ষাতে ও কার্স্যে উথলিত হইতে থাকেন তখন তাহাই ধৰ্ম্ম । আমরা বালক কালে ক্রীড়ার সঙ্গিগণের সহিত কৌতুক করিবার নিমিত্ত একগাছের ফুল আনিয়া বাড়ীর গাছে কৌশলে বসাইয়া দিতাম,- দিয়া বলিতাম “দেখ দেখ আমাদের গাছে কেমন ফুল ফুটেছে।” কিন্তু সে ফুলের শোভা অধিকক্ষণ থাকিত না ; অল্পক্ষিণ পরেই তাহা বিবৰ্ণ হইত ; দল ঝরিয়া যাইত ; পুষ্প হীন বৃক্ষ পুষ্পহীনই থাকিত। সেইরূপ তোমার নিকট ধার করা সদগণে অামার ধৰ্ম্ম হয় না ; বাহিরের শাসনে আরোপিত সাধুতাতে ধৰ্ম্ম হয় না ; বৃক্ষের রসের ন্যায় যে সাধুতা জীবনের উৎস হইতে উৎ