পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* \ატ 8 ईखौ { সারিত হইয়া জীবনতারুকে সতেজ করে, এবং ফুল ফল প্রসব করে, তাহাই ধৰ্ম্ম। একটী স্ত্রীলোক কুয়া হইতে জল তুলিতেছিল, যীশু তাহাকে বলিলেন—“তুমি কুয়া হইতে বৃথা কি জল তুলিতেছ, তুমি আমার সঙ্গে এস, আমি এমন জল দেখাইয়। দিব যে তাহ পান করিলে আর তৃষ্ণা হয় না।” ; ইহা ও সেই জীবন্তধৰ্ম্মের উৎসের কথা । তুমি আমি কি ইহা চাই না যে আমাদের প্রাণে এমন একটা উৎস খুলুক যাহা হইতে তাজা তাজা ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বদা উৎসারিত হইবে ? ধৰ্ম্মের একটা উৎস না পাইলে কেবল সাধনার দ্বারা ধৰ্ম্ম পা ওয়া দুঃসাধ্য । কোন কোন ও ধৰ্ম্মসম্প্রদায় ধৰ্ম্ম-সাধনের এরূপ পুঙ্খানুপুঙ্খ নিয়ম সকল স্থাপন করিয়াছেন, যাহা সমুচিতরূপে পালন করিতে গেলে সাধকের চিত্ত শ্ৰান্ত ও ভারাক্রান্ত হইয় পড়ে । মানব-হৃদয়কে তিক্ত করা ধৰ্ম্মের কাজ নয়, মিন্ট ও সুখী করাই ধৰ্ম্মের কাজ । হৃদয়ে একটা ধৰ্ম্মের উৎস খুলিলে সেটা হইতে পারে। আর হৃদয়ে যদি একটা উৎস থাকে তুমি যেখানে যা ও তোমার সঙ্গেই ধৰ্ম্ম আছে , মানুষ এজগতে যে ভাল থাকে, অনেক সময়ে তাহার বার অনা হা ওয়ার গুণে । কেবল ব্যাধি যে সংক্ৰামক তাহা নহে হৃদয়ের ভাব ও সংক্ৰামক, সাধুতা ও সংক্ৰামক । আজ তুমি ব্ৰাহ্ম আছি, ধৰ্ম্ম ও সমাজ সংস্কারে উৎসাহী আছ, তাহার কারণ হয়ত এই যে, তুমি সেরূপ লোকের সংসগে আছে, সেরূপ হাওয়াতে আছ, সেরূপ উৎসাহ