পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

羽变1 y দয়াময় বলিলাম, ইহাতেই সকল পাপ খণ্ডিয়া যাইবে । অনেক সময় দেখা যায়। ইহারা ধৰ্ম্মের ছায়ার পশ্চাতে বিষয়াসক্তির কায় রাখিয়াছেন, তাহা নিজেরা দেখিতেছেন না । জাগ্ৰত, জীবন্ত, সতেজ ঈশ্বরপ্রেম ইহাদের হৃদয়ে নাই। সুতরাং ইহারা ও ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে প্ৰযুপ্ত। এই সকল প্ৰযুপ্ত আত্মা কখন কখনও জাগ্ৰত হয়, কখনও নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থা বিষয়ে অভিজ্ঞ হয় ; নিজের দুৰ্গতি ও ধৰ্ম্মের মহত্ব অনুভব করে ; তখন তাহাদিগকে জাগ্ৰত তাত্মা বলা যাইতে পারে। এই প্ৰবোধন-প্ৰণালী সকলের পক্ষে সমান নহে । কেহ কেহ সংসারের অনিত্যতা ও বিষয়ের অসারতা অনুভব করিয়া জাগ্রত হন ; আবার কেহ কেহ অগ্ৰে সেই প্ৰেমময়ের প্রেমের মাধুরী ও ধৰ্ম্মের সারবত্তা অনুভব করিয়া প্ৰবুদ্ধ হন। এই দুইটী প্ৰণালী সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ-গতিসম্পন্ন। একটীর গতি বিয়োগের দিকে ; অপরটার গতি যোগের দিকে । এদেশের অনেক লোক প্ৰথমোক্ত ভাবে উদ্ধৃদ্ধ হইয়া সংসার তাগ করিয়া সন্ন্যাসী হইয়াছেন। ভভূহরির বৈরাগা বিষয়ে এরূপ কথিত আছে, যে তিনি একটা স্ত্রীলোকের প্রতি আতিশয় আসক্ত ছিলেন ; বড় ভালবাসিয়া তাহাকে একটা উৎকৃষ্ট ফল দিয়াছিলেন ; পরে সেই ফলটিী অপর একজন রাজপুরুষের নিকট পাইলেন ; তখন তাহার চেতনা হইল ; তিনি ভাবিলেন ছি, ছি, ! এ কুহিকে থাকিতে नांदे ।