পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

or ধৰ্ম্ম জীবন । রাতারাতি পলাইবার পরামর্শ করিল ! যখন সে প্রতারণা কাৰ্য্যটা হইয়া গেল এবং পুলিস তাঁহাদের পশ্চাদ্বত্তী হইল, এবং তাহাদিগকে আত্মগোপন করিয়া সন্ন্যাসীর বেশে সহরে সহরে বেড়াইতে হইল, তখন সেই ধনী সন্তানের মনে বড়ই লজজা বোধ হইল, সে একদিন বলিল,-“আমি আর তোমাদের সঙ্গে থাকিব না ; তোমরা বড় ছোট লোক, সামান্য অর্থের জন্য পরকে প্ৰবঞ্চনা করি, আমি পিতার কাছে যাই ।” সে এই কথা বলিবামাত্র তাহার সঙ্গিগণ অনুরোধ, উপরোধ, প্রভৃতি সহকারে তাহাকে বারণ করিতে লাগিল ; সে কিছুতেই শুনিল না ; তাহার হাত ধরিয়া টানাটানি করিতে লাগিল, সে শুনিল না ; সবলে হাত ছাড়াইয়া, তাহদের জিনিসপত্র দুরে ফেলিয়া দিয়া, পিতার গৃহের অভিমুখে অগ্রসর হুইল । এরূপে যাওয়াটা কতটা প্ৰতি জ্ঞার বলের কৰ্ম্ম ! তেমনি প্ৰবৃত্তির অধীনতা ভাগ করিয়া মানুষ যখন ধর্মের ও ঈশ্বরের অধীনতা স্বীকার করিতে যায়, তখন কি মহাপরিবর্তনই ঘটে ! কি প্ৰতিজ্ঞার বলেরই প্ৰয়োজন হয় ! প্ৰব্লণ্ডির অধীনতাতে কি ঃখ তাহ মানুষ দেখিয়াছে ; আমরা ও প্রতিদিন দেখিতেছি । মানব-সংসারে দাবানলের ন্যায় যে দুঃখানল নিরন্তর ভুলিতেছে, তাহার অধিকাংশ কি মান্ববের অা দুঃ-ক্লােত নহে ? রোগ শোক জরা মরণ প্রভূতি সাভাবিক ও অপরিহার্স দুঃখ ত আছেই, যাহা সকলকেই সহিতে হয়, নিরস্তর সতর্ক থাকিয়া ও যাহা কেহ নিবারণ করিতে পারে না ; কিন্তু হায় ! মানুষের এমনি