পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুদের সাক্ষ্য। Seet হাফেজ সখ্যভাবে সিদ্ধ, যীশু বাৎসল্যভাবে সিদ্ধ, চৈতন্য মধুরভাবে সিদ্ধ। বাৎসল্যভাব দুই প্রকারে হইতে পারে ; ঈশ্বর পিতা আমি সন্তান, এই একীভাব, আর আমি পিতা বা মাতা ও ঈশ্বর সন্তান, এই আর এক ভাব। দ্বিতীয়োক্ত ভাবাটী মীরাবাই প্ৰভৃতি এ দেশের বৈষ্ণব সাধকগণের মধ্যে অনেকে সাধন করিয়াছেন, কিন্তু যীশু প্ৰভৃতি পিতৃভাবেই সিদ্ধ। এই সকল মহাজনের জীবনচরিত আলোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, যে ইহারা গতানুগতিকে সন্তুষ্ট হইতে না পারিয়া প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে, নিজের একবার তলাইয়া দেখিবেন সত্যের ভূমি কিছু পাওয়া যায় কিনা ; এবং জীবন মরণ পণ করিয়া এই ব্রতসাধনে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ইহাদের ব্যাকুলতা ও দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞতার বিষয়ে চিন্তা করিলে স্তব্ধ হইয়া থাকিতে হয় । বুদ্ধ প্ৰতিজ্ঞা করিয়া বলিলেন, “যে আমার শরীরের অঙ্গ সকল খসিয়া পড়ুনুক, শীটে এ দেহকে ক্ষত বিক্ষত করুক, তথাপি আমি এই বোধিদ্রুমের তাল হইতে উঠিব না ; আলোক পাইতেই হইবে”। যীশু মানসিক যাতনাতে অভিভূত হইয়া চল্লিশ দিন, চল্লিশ রাত্রি, অরণ্য মধ্যে অনাহারে পড়িয়া রহিলেন, সত্যের সাক্ষাৎকার না হইলে উঠিব না । মহম্মদ হরা পৰ্ব্বতের গহবরে পড়িয়া চিন্তা করিতে করিতে এমনি উন্মত্তপ্রায় হইয়া উঠিলেন, যে বলিলেন, “সত্যের আলোক না পাইলে এ প্রাণ রাখিব না,” এই বলিয়া গিরিপৃষ্ঠা হইতে লম্ফ দিয়া আত্মহত্যা করিতে উদ্যত হইলেন । চৈতন্ত