পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"GQVe । क्षऔजौबम । এতই ব্যাকুল হইয়াছিলেন যে—“কৃষ্ণ রে বাপ রে ! দেখা দে রে’ বলিয়া কাদিয়া গয়াতীর্থের পথে বাহির হইয়াছিলেন ; এবং নবদ্বীপেও সময়ে সময়ে মাটিতে পড়িয়া এরূপ মুখ ঘসিতেন যে মুখ দিয়া রক্ত নিৰ্গত হইত। সত্যের সাক্ষাৎকার লাভের জন্য এরূপ ব্যাকুলত কি সাধারণ মানুষের হয় ? এই স্থানেই ইহাদের অসাধারণাঙ্গ । লোকে যে সকল চিরপ্ৰচলিত মত ও ক্রিয়া অবলম্বন করিয়া সন্তুষ্ট ছিল, তাহাতে অতৃপ্ত হইয়া ইহারা চিন্তা-সাগরে বা গাপ দিয়াছিলন এবং অতলে ডুবিয়া মহামূল্য সত্য উদ্ধার করিয়াছিলেন। সিসিলি দ্বীপস্থ প্ৰাচীন সাইরেফিউজ নগরে আর্কিমিদিস নামে একজন মহাপণ্ডিত ছিলেন ; তাহার বিষয়ে এরূপ কথিত আছে যে, তিনি একবার একটা বৈজ্ঞানিক সমস্যার মীমাংসার জন্য কয়েক দিন চিন্তিত ছিলেন । এক দিন সুনাগারে সুমান করিতে গিয়া জলের টবের মধ্যে বসিবামাত্র ঐ মীমাংসাটা তাহার অন্তরে প্রতিভাত হইল । তখন সেই তত্ত্ব অনুভব করিয়া, তাহার মনে এতটা আনন্দ ও এতটা মু'আবেগ হইয়াছিল যে তিনি ‘পেয়েছি, পেয়েছি ? বলিয়া, নগ্ন দেহে রাজপথে বাহির হইয়া পড়িয়াছিলেন । এই সকল মহাজনও কি একটা দেখিয়া উন্মত্তপ্ৰায় হইয়া জগতে বাহির হইয়া পড়িয়াছিলন। বুদ্ধ নিরঞ্জন নদীর তীরে বহুকাল তপস্যায় যাপন করিলেন, কিন্তু যেদিন সিদ্ধিলাভ করিলেন, সেদিন বারাণসীতে পঞ্চ শিষ্যের উদ্দেশে ধাবিত হইলেন ; “তোমরা শোন আমি নুতন আলোক পাইয়াছি।” পথে